• বাইক-চুরির অভিনব চক্র, শ্রীঘরে ৬ জন
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • পুরোনো জিনিসপত্র কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাইক বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে প্রথমে যোগাযোগ করা হতো মালিকের সঙ্গে। বলা হতো নির্দিষ্ট জায়গায় আসতে। মালিক বাইক নিয়ে এলে টেস্ট ড্রাইভের নামে সেটি নিয়ে চম্পট দিত চোরেরা! এর বাইরে লক ভেঙে বাইক চুরিও চলত। চুরি করা বাইকের নম্বর প্লেট বদলে তা বিক্রি করে দেওয়া হতো শহর-শহরতলির গ্যারাজে।গত কয়েক মাস ধরে রবীন্দ্র সরোবর, বেনিয়াপুকুর, মুচিপাড়া, গড়িয়াহাট, ভাঙড় ও এন্টালি মিলিয়ে ৯টি থানায় স্কুটি ও বাইক চুরির অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছিল। তদন্তে নেমে এই চুরি-চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশের ইস্টার্ন সাবার্বান এবং সাউথ-ইস্ট ডিভিশনে গত কয়েক মাস ধরেই বাইক চুরির অভিযোগ আসছিল।এর পিছনে কারা, তার হদিস মিলছিল না। এমনকী বিভিন্ন থানায় রুজু হওয়া অভিযোগপত্র থেকে পাওয়া বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেটের ভিত্তিতেও কোনও সূত্র পাচ্ছিল না পুলিশ। কারণ, নম্বর প্লেটই বদলে ফেলা হচ্ছিল। তবে, সিসিটিভির সূত্র ধরে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাদের সম্প্রতি নজরে আসে, চুরি হওয়া একটি মোটরবাইকের নম্বর প্লেট বদল করা হয়নি।সেটির উপরে নজরদারি চালিয়ে চালকের গতিবিধির হদিস পায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা মহম্মদ ইমরানউদ্দিন নামে যুবককে। তিনি দাবি করেন, বাইকটি মহম্মদ সামির, ইমরান নাজির নামে দু’জনের কাছ থেকে তিনি কিনেছেন। তবে কেনার প্রমাণ হিসেবে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এর পরেই ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় বাইকটি।লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে নাজির স্বীকার করেন, আরও দু’জনের সহযোগিতায় বাইক চুরি করতেন তাঁরা। সেই বয়ানের ভিত্তিতে বান্টি দাস ও মহম্মদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, চুরি করা বাইক কিনতেন রাজেশ সর্দার। জীবনতলায় পুরোনো মোটরবাইক সারানো ও সাজানোর দোকান রয়েছে রাজেশের।পুলিশের দাবি, চুরি করা মোটরবাইক কেনার পাশাপাশি চুরির মোটরবাইক পরিবর্তন করে সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রিও করতেন রাজেশ। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৮টি মোটরবাইক।
  • Link to this news (এই সময়)