কুয়াশা এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমান দেরি হওয়ার ঘটনা মাস দু’য়েক আগে শিরোনামে উঠে এসেছিল। কোপের মুখে পড়েছিল একাধিক বিমানসংস্থা। দেরি হওয়া বিমানের যাত্রীরা টারম্যাকে বসে খাওয়া-দাওয়া করায় মোটা অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছিল ইন্ডিগো বিমানসংস্থাকে।সেই ঘটনার রেশ ফিকে হওয়ার আগেই ফের এক বিমান বিভ্রাট বম্বে বিমানবন্দরে, যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধ এবং একাধিক শিশু। মুম্বই থেকে মরিশাসগামী ‘এয়ার মরিশাসের’ ফ্লাইটে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার ভোর ৪.৩০-এ বিমানটি মুম্বই থেকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। ৩.৪৫ নাগাদ থেকে শুরু হয় বোর্ডিং।কিন্তু বিমানটি রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ইঞ্জিনে গোলযোগ ধরা পড়ে। আর তার জেরে ৫ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে ছিল বিমানটি। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে কোনও যাত্রীকে নামতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে বিমানটি বাতিল করে যাত্রীদের অন্য ফ্লাইটে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণ প্লেনের এসি বন্ধ থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই।৭৮ বছরের বানুদুত বুলাকি এই বিমানেরই যাত্রী ছিলেন। শ্বাসকষ্টে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেও এয়ার মরিশাসের কর্মীরা সে ভাবে কোনও সহযোগিতা করতে পারেননি বলে অভিযোগ। এক যাত্রী বলেন, ‘বিমানে বোর্ডিং কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর গোলযোগ ধরা পড়ে, কিন্তু আমাদের নামতে দেওয়া হয়নি। এদিকে, এসি কাজ না করায় বিমানের ভিতরে শ্বাস নিতেও সমস্যা ছিল না। বেশ কয়েকটি বাচ্চাও অসুস্থ হয়ে পড়ে।’এয়ার মরিশাস অবশ্য বিষয়টি নেয় এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। সাধারণত, বিমানে বোর্ডিং হয়ে গেলে খুব ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি ছাড়া যাত্রীদের আর বেরোতে দেওয়া হয় না। বিমান সংস্থাগুলির যুক্তি, একবার যাত্রীদের বেরোতে দিলে আবার সিকিউরিটি চেকিং করিয়ে সব যাত্রীকে বিমানে তুলতে হবে।এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, সেই কারণেই যাত্রীদের আসনে বসে থাকার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিমানের ত্রুটি সারাতে এতটা সময় লাগার পরও আগে কেন আগেই অন্য বিমানের ব্যবস্থা করা হলো না? উঠছে প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব নেটিজেনরাও।