BJP Candidate List : মার্চের শুরুতে রাজ্যের কিছু সিটে প্রার্থী ঘোষণা পদ্মের?
এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই বাংলার কয়েকটি লোকসভা আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে পারে বিজেপি। শনিবার দিল্লিতে বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বর সঙ্গে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। আগামী কয়েক দিনে ইন্য রাজ্যের নেতাদের সঙ্গেও প্রার্থী নির্বাচন বিষয়ে বৈঠক সেরে ফেলবেন নাড্ডারা। দলীয়স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২৯ তারিখ বিজেপির জাতীয় নির্বাচন কমিটির প্রথম বৈঠক হবে। সেখানে গোটা দেশের অন্তত একশো আসনে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করার পাশাপাশি মার্চের প্রথম সপ্তাহেই তাঁদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে। ওই একশোজনের মধ্যে থাকার কথা বাংলার কিছু আসনের বিজেপি প্রার্থীর নামও।এদিন দিল্লিতে বাংলা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নাড্ডা। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সাংগঠনিকভাবে দুর্বল আসনগুলিতে কাদের প্রার্থী করা যায়, মূলত তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। অর্থাৎ, এই পাঁচ রাজ্যে ২০১৯ লোকসভা ভোটে যে আসনগুলিতে বিজেপি হেরেছিল, সেই আসনগুলির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলা থেকে এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।গত লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ২৪টি আসনে হেরেছিল বিজেপি। সুকান্ত, শুভেন্দুরা এই আসনগুলিতে তাঁদের পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নাড্ডাকে জানান। যদিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিজেদের মতো করে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই সমীক্ষা চালিয়েছেন একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে। এক বিজেপি নেতার কথায়, 'যে আসনগুলিতে রাজ্য থেকে পাঠানো নামের সঙ্গে নাড্ডাদের সমীক্ষায় উঠে আসা নাম মিলে যাবে, সেখানে কোনও সমস্যা নেই। যেখানে মিলবে না, সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অমিত শাহ, নাড্ডারাই নেবেন।' আগামী ২৯ তারিখের বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের দুর্বল আসনগুলির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে বিজেপির একটি অংশের দাবি। সেক্ষেত্রে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেবে বিজেপি।অন্যদিকে, এদিন রাতে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠন এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে সন্দেশখালি সম্পর্কে ভাষণ দেন সুকান্ত ও শুভেন্দু। দু'জনেই সেখানে একসুরে সন্দেশখালির ঘটনা রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। সুকান্ত দাবি করেন, সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেশের কোথাও কখনও ঘটেনি।