• Suvendu Adhikari : ‘FIR তো পুলিশের হাতে’, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে রাজ্যের ‘ED’ তত্ত্ব খারিজ শুভেন্দুর
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • শেখ শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? প্রায় ৫২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কেন শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে ইডির কোর্টে বল ঠেলেছে রাজ্য সরকার। তবে, রাজ্যের এই যুক্তিকে মানতে নারাজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের হাতে এফআইআর থাকা সত্বেও কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনি।শনিবার সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা জানান, শেখ শাহজাহানকে ইডি গ্রেফতার করতে পারবে। রাজ্য পুলিশের শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার এক্তিয়ার নেই। এরই পালটা শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘ইডি হাইকোর্টে গিয়েছে সিবিআই তদন্তের জন্য। সেই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ৬ মার্চ। ইডি রাজ্য পুলিশকে বলবে কেন? এফআইআর তো রাজ্য পুলিশের হাতে আছে।’বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘সন্দেশখালি এত মহিলারা সামনে এসে অভিযোগ যাচ্ছেন। রাজ্য পুলিশের উচিত সুয়ো মোটো কেস করে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা। কিন্তু, রাজ্য পুলিশের সেই সদিচ্ছা নেই। কারণ, শেখ শাহজাহানের মতো লোকদের ছাড়া তৃণমূল ওখানে ভোট লুঠ করতে পারবে না।’ প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই একটি সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূল সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইডি গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলত পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালত।’Suvendu Adhikari on Sandeshkhali : ‘জমি তো আমিই ফেরত দিয়ে এসেছি’ দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে মন্তব্য শুভেন্দুরপুলিশকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে না। কারণ, শাহজাহান ওখানে লুঠ করে। সেই মাল কলকাতায় আসে ভাইপোর কাছে।’ শুভেন্দু বক্তব্য, শেখ শাহজাহাননের মতো নেতারা ভোট করানোর জন্য কাজে লাগে শাসক দলের। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের পর থেকে ওই অঞ্চলে লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।’ তাঁর কথায়, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, গোসাবা, ক্যানিং অঞ্চলের আদিবাসী, হিন্দু ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি।শনিবার উত্তেজনার কারণে ফের সন্দেশখালি যান রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। সঙ্গে ছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ন্যায্য কারণে আন্দোলন করছেন। তাঁদের সমস্ত জমি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘আমরা কোনভাবেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না। আমাদের কাছে আড়াইশোর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যে দেড়শোর বেশি অভিযোগের সমাধান করা হয়েছে।’
  • Link to this news (এই সময়)