গান্ধী-নেহরু পরিবারের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। বর্তমানে রাহুল গান্ধী ব্যস্ত রয়েছে তাঁর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার কর্মসূচিতে। গান্ধী পরিবারের সদস্য হিসেবে তাঁর উপর সবসময়ই ফোকাস থাকে। যদিও বিরোধীরা ক্রমাগত তাঁর যোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে। জানেন রাহুল গান্ধী কতদূর পড়াশোনা করেছেন? তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? যেমনটা জানা যায়, রাহুল গান্ধীকে বেশ কয়েকবার পড়াশোনা মাঝপথে থামাতে হয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে। রাজনীতির ময়দানে প্রবেশের আগে অফিসে দশটা পাঁচটাও ডিউটিও করেছেন রাহুল।ছোটবেলায় ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী ও বাবা রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাহুলকে। সেসময় এক জায়গায় থিতু হয়ে পড়াশোনা করা রাহুলের পক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ করে। করতেও পারেননি তা অনেক সময়। একাধিকবার মাঝপথে রাহুলকে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে। সুরক্ষা-নিরাপত্তার স্বার্থে বদলাতে হয়েছে নামেও। ছদ্ম নাম নিয়ে পড়োশানা চালাতে হয়েছে তাঁকে। দিল্লির মর্ডান স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন রাহুল। এরপর দেরাদুনের দুন স্কুলে ভর্তি হন। তাঁর বাবা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও এই স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেছিলেন।১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর তাঁকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কারণে বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতে হয়। ১৯৮৯ সালে রাহুল ভর্তি হন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজে। তবে নিরাপত্তার কারণে সেখানে তাঁকে পড়া ছেড়ে দিতে হয়। এরপর রাহুল চলে যান আমেরিকা। আমেরিকার হার্ভাডে ভর্তি হন রাহুল গান্ধী। সেখানেও তিনি পড়াশোনা ছাড়েন। ১৯৯৪ সালে পর্যন্ত তিনি স্নাতক শেষ করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রোলিং কলেজে। ১৯৯৫ সালে রাহুল কেমব্রিড ইউনিভার্সিটির ট্রিনিটি কলেজ থেকে এমফিল করেন ও পরিচয় লুকিয়ে সাধারণ ছাত্র হিসেবেই পড়াশোনা করেন। রাহুল তাই একজন উচ্চ শিক্ষিত রাজনীতিবিদ। তিনি গ্র্য়াজুয়েশনের পর তিন বছর লন্ডনের মনিটর গ্রুপে চাকরি করেন। পরিচয় লুকিয়ে সাধারণ একজন ভারতীয় হিসেবেই চাকরি করেন সেখানে। এই কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ মাইকেল পোর্টার গ্রুপের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন রাহুল। রাহুল গান্ধী এই সময় ভিঞ্চি নামে এই কোম্পানিতে কাজ করতেন নিরাপত্তার কারণে। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে রাহুল ভারতীয় রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন। আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি এক লাখেরও বেশি ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন। বর্তমানে তিনি কেরালা ওয়ানাডের সাংসদ।