• দেবী সরস্বতীকে অসম্মানের অভিযোগ, রাজস্থানে সাসপেন্ড সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • দেবী সরস্বতীকে অসম্মান করার অভিযোগ স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রাজস্থানের। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বরান জেলার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সরস্বতীর ছবি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে আপত্তি করেন, যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। এর জেরে তাঁকে রাতারাতি সাসপেন্ড করা হয়েছে।সাসপেন্ড স্কুল শিক্ষিকারাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ারের নির্দেশে শুক্রবার হেমলতা বৈরওয়া নামে ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার বলেন, 'কিছু কিছু মানুষ নিজেদের সবকিছুর ঊর্ধ্বে মনে করেন। নিজেদের কাজকর্মে মনোযোগ না দিয়ে দেবী সরস্বতীকে নিয়ে মন্তব্য করছেন। যে এই ধরণের মন্তব্য করেছেন, তাঁকে সাসপেন্ড করা হোক।' কিষাণগঞ্জে একটি জনসমাবেশ থেকে বরান জেলার ওই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় শিক্ষামন্ত্রীকে।সাসপেনশনের অর্ডার আসা মাত্রই শুক্রবার হেমলতা বৈরওয়া নামে প্রবোধক লেভেল-১ শিক্ষিকাকে নোটিশ ধরানো হয়। বরান জেলার কিষাণগঞ্জ এলাকার লকড়াই গ্রামের সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে শিক্ষিকার এই সাসপেনশন।ঘটনাটি ঠিক কী?জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে। স্কুলে ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে কোথায় সরস্বতী ঠাকুরের ছবি রাখা হবে, তা নিয়ে বিবাদ শুরু। বরান জেলার কিষাণগঞ্জের লকড়িয়া এলাকার সরকারি প্রাইমারি স্কুলের ওই শিক্ষিকার মন্তব্য নিয়ে আপত্তি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে হেমলতা বৈরওয়ার বিরুদ্ধে। আর এর জেরেই তাঁর সাসপেনশন। বরান জেলার এলিমেন্টারি শিক্ষা দফতরের আধিকারিক পীযূষ কুমার শর্মা বলেন, 'ওই শিক্ষিকাকে বিকানিরের এলিমেন্টারি এডুকেশন ডিরেক্টরেটে উপস্থিতি জানাতে বলা হয়। তিনি খুব সহজেই সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পারতেন। স্থানীয়দের সঙ্গে একমত হয়ে তিনি দেবী সরস্বতীর ছবিটি সঠিক স্থানে রাখতেই পারতেন। তবে তাঁর উস্কানিতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে।'জানা গিয়েছে, সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চে মহাত্মা গান্ধী এবং বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের ছবির পাশে দেবী সরস্বতীর ছবি রাখতে আপত্তি জানান শিক্ষিকা হেমলতা বৈরওয়া। এতেই স্থানীয় লোকজন অসন্তুষ্ট হয়।সম্প্রতি স্কুলের মধ্যে জোর করে নমাজ পাঠ করানোর অভিযোগ ওঠে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। রাজস্থানের কোটায় এমন ঘটনা ঘটেছে। লাভ জিহাদ এবং জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ ওঠে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর দু'জন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
  • Link to this news (এই সময়)