• ফের সন্দেশখালিতে পার্থ-সুজিত, গলায় খোল ঝুলিয়ে যোগ কীর্তনের আসরে
    এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • শনিবারের পর রবিবার ফের সন্দেশখালিতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক। শনিবারও এলাকায় গিয়েছিলেন তাঁরা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁদের। তারপর এদিন ফের সেখানে যান দুই মন্ত্রী। একটি কীর্তনের আসরেও যোগ দেন তাঁরা। এমনকী কীর্তনের আসরে যোগ দিয়ে খোল বাজাতে দেখা গেল পার্থ ভৌমিককে।সন্দেশখালির বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনতে এবং যাবতীয় ক্ষোভ মেটাতে শনিবারের পর রবিবার ফের সেখানে যান দুই মন্ত্রী। এদিন সেখানে কীর্তনের আসরে যোগ দিলেন সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক। 'মানুষ ভাল আছেন, তাই আমাদের এখানে ডেকেছেন', এদিন এমনই দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। মানুষের উদ্দেশে তাঁরা বলেন, 'রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হয়ে এসেছি, আপনাদের জমি ফেরত দেওয়া হবে।' সেচমন্ত্রী পার্থের ভৌমিক জানান, মানুষের সমস্ত অভাব, অভিযোগ শুনতেই তাঁদের পাঠিয়েছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, 'আমাদের কাজ মানুষের পাশে থাকা, কোনও ব্যক্তির পাশে দল বা সরকার নেই।'Sandeshkhali Incident : ‘কেড়ে নেওয়া জমি ফেরত দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ জানালেন মন্ত্রী পার্থ ভোমিকগতকালও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের এই দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁদের সামনে গ্রামবাসীদের অভিযোগ করেন, অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে শেখ শাহজাহানকে। যদিও মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক দাবি করেন, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে একমাত্র কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেনট ডিরেক্টরেট। যেহেতু ইডি অভিযোগ দায়ের করেছে, তাই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ না এলে রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে না। শনিবার দুই মন্ত্রী এলাকায় একটি সভাও করেন। শনিবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তাঁদের উপস্থিতিতেই শিবু হাজরাকে সরিয়ে এলাকার ব্লক সভাপতি করা হয় অজিত মাইতিকে। যদিও শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও বহু জমি দখল ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।সন্দেশখালির ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারবে সরকার?এরই মধ্যে পুলিশের অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে সন্দেশখালির কাটপোল এলাকায়। সেখানে গ্রামের মানুষ তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন। পুলিশের তরফেও তাঁদের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, সেখানে শাহজাহান ও সিরাজুদ্দিনদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইডির ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে ৫০ দিনের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও কোনও খোঁজ নেই শাহজাহানের।
  • Link to this news (এই সময়)