১০ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে 'জনগর্জন' কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, ইন্ডিয়া জোট শরিকদের কি এই ব্রিগেডে দেখা যাবে? কোনও দলকে কি আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে তৃণমূলের তরফে? এবার এই প্রশ্নের জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন BJP-কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের মাঠে তৃণমূলের পরে সভা করার চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '২৫ তারিখ এই ব্রিগেড ঘোষণা করেছি। দুই সপ্তাহের কম সময়। কী ভাবে বাংলার মানুষকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বঞ্চিত করেছে তা দেখাব। পারলে সেখানে সভা করে দেখান, সংগঠনের কত জোর দেখা যাবে।'২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ব্রিগেডে যে সভা করেছিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন অবিজেপি দলের একাধিক নেতা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও কি সেই দৃশ্য দেখা যাবে? এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বাংলার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনার বিষয়টি সামনে রেখে লড়াই করছি। যাঁরা এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে চান তাঁরা আসতে পারেন। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে সংগঠিত করে লড়াই করছে। তাই নাম দেওয়া হয়েছে জনগর্জন সভা। এখানে আলাদা করে কাউকে আহ্বান জানাচ্ছি না। প্রতিটা মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি বাংলার স্বার্থে ব্রিগেডে আসুন।’২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ব্রিগেডে উপস্থিত ছিলেন এইচ ডি দেবগৌড়া, ওমর আবদুল্লা, মল্লিকার্জুন খাড়গে, চন্দ্রবাবু নাইডু, অখিলেশ যাদব, হেমন্ত সোরেন,অরুণ শৌরি, তেজস্বী যাদব, শরদ পাওয়াররা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, ২০২৪ সালে তৃণমূলের ব্রিগেড সভাতেও কি উপস্থিত থাকবেন বিরোধীরা? এদিকে সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোট নিয়ে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যায়নি তৃণমূল।ইতিমধ্যেই সপার সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে রফা হয়েছে কংগ্রেসের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, ইন্ডিয়া জোট শরিকদের কি আমন্ত্রণ জানানো হবে? এবার সেই জল্পনায় দাঁড়ি টানলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি জোর করে বাংলার মানুষের বাড়ির টাকা আটকে রেখেছে। ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে। বাংলা কারও কাছে হাত পাতবে না। ১০০ দিনের টাকা দেবে রাজ্য।’