UP Police Paper Leak 2024: লাখ লাখ টাকায় পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস! 'জিরো টলারেন্সের' হঁশিয়ারি যোগীর
এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
যোগী রাজ্য তথা উত্তর প্রদেশের পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে শোরগোল। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশে পুলিশের নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষাতেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। শনিবার সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যদিও পরীক্ষা বাতিলের পর কবে আবার পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হবে তার দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি।পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান বেকার যুবকরা। বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিরোধী শিবিরও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। হাওয়া বুঝে পুলিশের নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, 'বাতিল করা হয়েছে রিজার্ভ সিভিল পুলিশের পদে নিয়োগের পরীক্ষা-২০২৩। আগামী ছয় মাসের পরীক্ষা নেওয়ার হবে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মর্মে।' পাশাপাশি যোগীর হুঙ্কার 'পরের বারের পরীক্ষায় কোনওরকম গোলমালে আপস করা হবে না। প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষীদের বিরুদ্ধে।'লখনউতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, 'প্রথম দিন থেকেই আমাদের সংকল্প ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সততার সঙ্গে কোনও রকম আপস করা হবে না। যদি যুবকদের প্রতি অবিচার করা হয় তবে তা পাপ। প্রথম দিন থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে যারা যুবকদের জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেব আমরা তাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করব। কড়া হাতে দমন করা হবে দুর্নীতি।' যোগী আরও বলেন, 'যারা যুব সমাজের ভবিষ্যত নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার অতীতেও ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমানেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে।' আদিত্যনাথের সংযোজন, 'সকলেই এখন প্রযুক্তির ব্য়বহার করছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ভুল ব্যবহার হচ্ছে। প্রযুক্তিকে ভালো কাজে লাগানো হলে সমাজের কল্যাণ হয়। তবে যারা প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এমন হবে যে অন্যদের কাছেও তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।'রাজ্য় সরকার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)গঠন করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তদন্তেরও ঘোষণা করেছে।উত্তর প্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় ছদ্মবেশ ধারণ করে পরীক্ষা দিতে আসে বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে ১২০ জনকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজি জানান, 'কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই শিফটে ৪৮ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। এই পরীক্ষায় সময় পরীক্ষার্থীদের ছদ্মবেশে কয়েক জন ঢুকে পড়েছিলেন হলে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।' জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের থেকে কাছ ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ইতিমধ্য়েই। তদন্ত শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। অভিযোগ, পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময়ের আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রার্থীদের অভিযোগ, ৫০ হাজার ছেকে ২ লাখ টাকার মধ্য়ে বিক্রি করা হয়েছে প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের অভিযোগের তদন্তের জন্য সোমবার পুলিশ নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ড একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছে।