'হাইকোর্ট হাত পা বেঁধে দিলে পুলিশ কী করবে?' সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক
এই সময় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের হাত বেঁধে দেয়, তাহলে গ্রেফতার করবে কোথা থেকে? যাঁরা সন্দেশখালি নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন, যে কমিটিগুলো এখানে আসছে, আমি তাদের বলতে চাই, আদালতের কাছে এটি জিজ্ঞাসা করুন যে রাজ্য পুলিশের হাত - পা কেন বেঁধে দেওয়া হয়েছে?রবিবার সন্দেশখালি ও শেখ শাহজাহান নিয়ে এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'শেখ শাহজাহানকে তৃণমূল গার্ড করছে না। যদি কেউ গার্ড করে থাকে তা হল বিচার ব্যবস্থা, যাতে রোজ সন্দেশখালিতে শিরোনামে থাকে। হাত পা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যত বড় নেতাই হোক, কেউ যদি মানুষের সঙ্গে অন্যায় করে থাকে, রেয়াত করা হবে না।'ভুল হয়ে গিয়েছে, ক্ষমা করে দেবেন: সন্দেশখালির বাড়ি বাড়ি পার্থ ভৌমিক-সুজিত বসুতৃণমূল কংগ্রেস শেখ শাহজাহানকে আড়াল করছে বলে লাগাতার অভিযোগ করে চলেছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা। এদিন সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'যাঁরা এই মানবাধিকারের ধর্তা কর্তা রক্ষাকর্তা এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি হয়ে রোজ বলছেন একে গ্রেফতার করুন, তাঁকে গ্রেফতার করুন, দরবারটা আর অনুরোধটা হাইকোর্টে করুন। হাইকোর্ট যদি রাজ্য প্রশাসনের হাত বেঁধে দেয়, তাহলে গ্রেফতার করবে কোথা থেকে? ' অভিষেক বলেন, 'যাঁদের মনে সন্দেশখালির ঘটনা বা শেখ শাহজাহান নিয়ে কোনও প্রশ্ন রয়েছে, ৫ জানুয়ারি যে ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা চালান হয়েছিল বলে তারা অভিযোগ করেছিল এবং তারা এফআইআর করেছিল, সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ একটি নির্দেশ দেয় যে একটি এসআইটি তৈরি হবে। ১০ - ১২ দিন পরে ইডি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে স্থগিতাদেশ চায়। আর ইডির আবেদন অনুযায়ী, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সেই স্থগিতাদেশ মঞ্জুর করে।'অভিষেকের যুক্তি, 'একটা এফআইআর-এর ভিত্তিতে প্রশাসনকে কমপক্ষে ১৫ দিন, ২০ দিন, ১ মাস, ২ মাসের সময় তো দিতে হবে। ইডিকে তো ১২ বছর সময় দিচ্ছেন, তখন তো হাত পা বাঁধেন না। সারদার মামলায় এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি, তখন তো বলছেন না যে স্থগিতাদেশ হবে। পুলিশকে ১৫ দিন সময় দেবেন না, আর ইডিকে ১০ বছর, ১২ বছর, ১৫ বছর সময় দিতে প্রস্তুত।' একইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদাহরণ টেনে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যত বড়ই নেতা হোক, মানুষের সঙ্গে অন্যায় করলে, রেয়াত করা হবে না।