Nabanna: মিউনিসিপ্যাল এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনে বিশেষ কমিটি
এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের কাজ সহজতর করতে উদ্যোগী হলো রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, এতদিন মিউনিসিপ্যালটি এলাকায় বাড়ির নকশা অনুমোদন করত বোর্ড অফ কাউন্সিলারস। সেই কাজ এখন করবে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন বিশেষ কমিটি। কমিটির মাথায় থাকবেন মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ কাউন্সিলারসের মনোনীত একজন কাউন্সিলার, একজন ফিনান্স অফিসার এবং একজন ইঞ্জিনিয়ারকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এর জন্য আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক শীর্ষকর্তার ব্যাখ্যা, কলকাতা পুর এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের জন্য আলাদা কমিটি (মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং কমিটি) থাকলেও মিউনিসিপ্যালিটির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিত বোর্ড অফ কাউন্সিলারস। মিউনিসিপ্যালিটিতে বোর্ড অফ কাউন্সিলারসের মিটিং কতদিন অন্তর হবে, তার কোনও নিয়ম নেই। সবটাই নির্ভর করে চেয়ারম্যানের উপর। চেয়্যারম্যানরা ব্যস্ত হয়ে পড়লে সেই মিটিং পিছিয়ে যায়। ফলে অনেক সময়েই বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের কাজ আটকে যায়।কোনও কারণে মিউনিসিপ্যালিটিতে বোর্ড গঠন সম্ভব না হলে বোর্ড অফ কাউন্সিলারসের অস্তিত্ব থাকে না। তখন বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের প্রক্রিয়াটাই থমকে যায়। এই সমস্যা মেটাতে বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট সংশোধন করে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষমতা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শহরতলি এলাকায় বাড়ির নকশা অনুমোদন করাতে কাঠখড় পোড়াতে হবে না। বোর্ড অফ কাউন্সিলারসের সিংহভাগ সদস্যই শাসকদলের মনোনীত। তাই অনেক সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও ওঠে। আলাদা কমিটি তৈরি হলে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না।সংশোধিত আইন অনুযায়ী, মিউনিসিপ্যালিটির কাছ থেকে কেউ বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন পেলে তিন বছর পর্যন্ত তার মেয়াদ থাকবে। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও দু’বছরের জন্য তা রিনিউ করানো যাবে। তার জন্য কত টাকা ফি লাগবে, সেটা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। বিল্ডিং কমিটি যে সময়সীমা বেঁধে দেবে, তার মধ্যেই বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হওয়া থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট ইস্যু করা পর্যন্ত আবেদনকারীকে এক সেট বিল্ডিং প্ল্যানের কপি, বিল্ডিং পারমিট, প্রিমাইসেস নম্বর, এলবিএস অথবা আর্কিটেক্টের নাম এবং বাড়ির মালিকের নাম টাঙিয়ে রাখতে হবে সাইটে।নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতার জমি কমে যাওয়ায় এখন শহরতলি এলাকায় বেশি আবাসন তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় যে সব মিউনিসিপ্যালিটি এলাকা রয়েছে, তার আশপাশে বড় বড় আবাসন এবং শিল্প গড়ে উঠছে। এই সব মিউনিসিপ্যালিটিতে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করাতে প্রচুর সময় লাগছে। রিয়্যাল এস্টেট সংস্থাগুলির কাছ থেকে এই সমস্যার কথা শোনার পর ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজ়নেস’-এর অঙ্গ হিসেবে মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের কাজ আরও সহজ করা হচ্ছে।’