Mount Everest: এভারেস্ট জয়ের পথে বিপদের হাতছানি! পর্বতারোহীদের জন্য় বিশেষ চিপ বাধ্যতামূলক নেপাল সরকারের
এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এভারেস্ট জয় প্রত্যেক পর্বতারোহীর কাছে এক স্বপ্ন। ফি বছরই এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে পাড়ি দেন বহু পর্বতারোহী। স্বপ্নকে সত্যি করার লক্ষ্য়ে পাড়ি দেন দুর্গম পথে। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ সহজ নয়। পথে কাঁটা বিছানো। দুর্গম এভারেস্ট জয় চাড্ডিখানি কথাও নয়। কখনও অক্সিজেনের অভাব, কখনও আবার ধসের সম্মুখীন হতে হয় পর্বতারোহীদের। লক্ষ্য পূরণ হয় না অনেকের। স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে মৃত্যু বরণ করেন বহু পর্বতারোহী। অনেক সময় আবার পর্বতারোহীদের খোঁজ পাওয়া যায় না। তুষারধসে কিংবা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আটকে গেলে প্রশাসনকে তাঁদের খোঁজে হিমশিম খেতে হয়। এমনও বহুবার ঘটেছে বহু দিন ধরেই নিখোঁজ পর্বতারোহীর কোনও পায়নি সরকার। পরে হয়তো উদ্ধার হয়েছে তাঁর নিথর দেহ। এবার তাই পর্বতারোহীদের সুরক্ষায় নেপাল সরকার তাঁদের সঙ্গে বৈদ্যুতিন চিপ বহনকে বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধারে সহায়ক হবে এই চিপ।নেপার সরকার এই বছরের বসন্ত কাল থেকে পর্বতারোহীদের জন্য এই ধরনের চিপ সঙ্গে রাখাকে বাধ্যতামূলক করতে একটি আইন প্রণয়ন করবে। ভারত ও নেপাল সহ সারা বিশ্বের হাজার হাজার পর্বতারোহী ৮,৮৪৯ মিটার উঁচু মাউন্ট এভারেস্টে জয়ের লক্ষ্যে পাড়ি দেন। পর্যটন বিভাগের ডিরেক্টর রাকেশ গুরুং জানিয়েছেন, এই চিপের দাম হবে ১০ থেকে ১৫ ডলার ( ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮২৮ থেকে ১২৪৩)। ভারেস্টের সমস্ত পর্বতারোহীকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের পরে সরকার ইলেকট্রনিক চিপ সরবরাহ করবে। এটি পর্বতারোহীর জ্যাকেটে লাগানো হবে।'এভারেস্ট আরোহণ শুরু হয় বসন্ত কাল থেকেই। তবে পর্বতে ওঠা ও নামার কাজটি বেশ কঠিন। একাধিক বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে তারপরই লক্ষ্য অর্জনে সফল হওয়া যায়। সেই বাধা বিপত্তি পেরোতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। অনেক সময় বহু পর্বতারোহী শৃঙ্গ জয়ের পথেই প্রাণ হারান বা নামার সময়ও গুরুতর আহত হন। অনেক সময় তাঁদের সঙ্গে সঠিক সময় যোগাযোগ করা যায় না। ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার গোল্ডেন আওয়ারও পেরিয়ে যায়। সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে যিনি হয়তো প্রাণে বাঁচতে পারতেন তাঁর সঙ্গে সঠিক সময়ে যোগাযোগ করতে না পারার কারণে মৃত্য়ু হয় অনেক সময়। তাই পর্বতারোহীদের জীবনের সুরক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করবে এই বৈদ্যুতিন চিপ। কেউ বিপদে পড়লে বা আহত কাউকে উদ্ধারের প্রয়োজন পড়লে এই চিপের সূত্র ধরেই তাঁর কাছে পৌঁছতে পারবেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।নেপাল সরকারে তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে কোনও কোনও ভাবে প্রায় ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২৩ সালের বসন্তে ২২ মে পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের সময় চারজন নেপালি, একজন ভারতীয় ও একজন চিনের নাগরিক সহ ১২ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়। এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ১৮,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। যে পথ ধরে এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে পর্বতারোহীরা এগোন সেই পথে তুষারঝড় লেগেই থাকে সারা বছর। জরুরি পরিস্থিতিতে পর্বতারোহীদের খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের কাছে। এই সময় কাজে আসতে পারে ইলেকট্রনিক চিপগুলি। বৈদ্যুতিন চিপের সাহায্যে সহজে পর্বতারোহীদের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।