তাঁর সফরের কয়েক দিনের মধ্য়েই ট্রেন্ডিং সার্চের তালিকায় শীর্ষে ছিল লাক্ষাদ্বীপ। সেখানে নমোর স্নরকেলিংয়ের ভিডিয়ো ভাইরালও হয়। এবার আরব সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার গুজরাটে দেশের বৃহত্তম কেবল ব্রিজের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর পুজো দেন দ্বারকায়।দ্বারকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উপভোগ করলেন স্কুবা ড্রাইভিং। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সেই ভিডিয়ো। জলের নীচে ডুবে যাওয়া প্রাচীন শহর দ্বারকায় গিয়ে কৃষ্ণের পুজো করলেন তিনি। মহাভারতের কাহিনিতে কৃষ্ণের শঙ্গে দ্বারকা যোগের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। মনে করা হয় এক সময় অতি সমৃদ্ধশালী শহর ছিল দ্বারকা। কয়েক শতাব্দী আগে সমুদ্রের নীচে এই শহর ডুবে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী দ্বারকা শাসন করতে কৃষ্ণ। তাঁর পৃথিবী থেকে বিদায়ের পরে সমুদ্রের গ্রাসে চলে যায় শহরটি।রবিবার উপকূল থেকে ২ নটিক্যাল মাইল দূরে স্কুবা ডাইভের বিশেষ পোশাক করে জলের নীচে থাকা দ্বারকা শহরকে দেখতে সমুদ্রে ডুব দেন প্রধানমন্ত্রী। সমুদ্রে ডুবে যাওয়া এই শহরে গিয়ে কৃষ্ণকে ময়ূরের পালকের নৈবেদ্য নিবেদন করেন নমো। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'জলের নীচে নিমজ্জিত দ্বারকা শহের প্রার্থনা করা আমার কাছে এক ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। আধ্যাত্মিক মহিমায় ভরপুর ও ভক্তিময় এক প্রাচীন যুগে ফিরে গিয়েছিলাম যেন। আমাদের সকলকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আশীর্বাদ করুন এটাই প্রার্থনা। সমুদ্রের গভীরে দেবত্বকে অনুভব করেছি।' প্রণাম করেছেন দ্বারকাধীশকে। কৃষ্ণের পায়ে একটি ময়ূরের পালক রাখেন মোদী।মোদী জানিয়েছেন, সর্বদা তিনি সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাওয়া এই কিংবদন্তি শহরে যেতে চেয়েছিলেন। দেখতে চেয়েছিলেন প্রাচীন দ্বারকা শহরের শহরের অবশিষ্টাংশকে। তাঁর সেই আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে। আর তাতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন নমো। মোদীর পরনে গেরুয়া পাঞ্জাবি, তার উপর চাপানো ছিল গেরুয়া মোদি কোট। জলের তলায় দ্বারকার দর্শনে যাওয়ার জন্যে কোমরে বেঁধেছিলেন ময়ূরের পালক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুজো দেন দ্বারকায় বেইত মন্দিরে। তাঁকে প্রার্থনা করতে দেখা যায় বেইতের দ্বারকাধীশ মন্দিরে। মন্দির পরিদর্শনের সময় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। রবিবার দ্বারকায় ভারতের দীর্ঘতম তারের সুদর্শন সেতুর উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। এই সেতু ওখার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বেইত দ্বীপকে সংযুক্ত করছে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৩২ কিলোমিটার। রবিবার প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। সেগুলির মধ্যে রয়েছে কচ্ছের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, মুন্দ্রা-পানিপত অপরিশোধিত তেল পাইপলাইন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ভদোদরায় নতুন কার্ডিওলজি হাসপাতাল এবং রাজকোট-সুরেন্দ্রনগর রেললাইনের প্রসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।