• কল্যাণী এইমস-এর যাত্রা শুরু, কী কী পরিষেবা?
    এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • গুজরাটের রাজকোট থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কল্যাণী সহ দেশে বেশ কয়েকটি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সেস-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবারই সেগুলি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল। কল্যাণী এইমস-এ এদিন থেকেই শুরু হয়ে গেল অন্তর্বিভাগীয় পরিষেবা। প্রধানমন্ত্রী এদিন কল্যাণী ছাড়াও রাজকোট, মঙ্গলাগিরি, ভাতিন্ডা এবং রাইবেরেলি এইমস-এরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।কল্যাণী এইমস-এর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ পরিবহণ এবং আয়ূষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক, সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা সহ প্রমুখ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল তাঁর ভাষণে স্বাস্থ্য এবং আয়ূষ মন্ত্রকের সাফল্যের কথা তুলে ধরে জানান, এখনও পর্যন্ত সারা দেশ জুড়ে ২৩টি এইমস হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর ভারত, আয়ুস্মান ভারত, বিকশিত ভারতের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে করেন। ১৭৫৪ কোটি টাকা খরচ করে ১৭৯.৮২ একর জমির ওপর ৯৬০ শয্যার কল্যাণী এইমস হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি এই হাসপাতালের বহির্বিভাগের পরিষেবা চালু হয়। বর্তমানে ৪৫০টি শয্যার পরিষেবা চালু হচ্ছে। চিকিৎসার পাশাপাশি এখানে মেডিকেল ও নার্সিং পড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।এদিকে এইমস এদিন চালু হলেও দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি বলে খবর। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর জটিলতা। যদিও প্রধানমন্ত্রী পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই কল্যাণী AIIMS-এর উদ্বোধন করবেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, 'কোথাও যদি উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদীর নাম থাকে, তাহলে সেখানে রাজ্য সরকার আসতে চায় না। তা না হলে কল্যাণী এইমস উদ্বোধন হচ্ছে, তার আগের দিন এনভারায়নমেন্ট ক্লিয়ারেন্সের প্রেস বিজ্ঞপ্তি বের হয়? এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, এই রকম অসংখ্য উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাধা দিতেই ব্যস্ত।'প্রসঙ্গত, মাত্র ১০ টাকার মাধ্যমে চিকিৎসা করানো যাবে এইমস-এ। ১০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে একটি বই। সেখানেই পরবর্তী চিকিৎসার দিনক্ষণ সমস্ত লেখা থাকবে। সেই বইয়ের ভ্যালিডিটি ১ বছর। সেটি শেষ হলে তারপর আর বই কিনতে হবে। আর ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এখানে দিন প্রতি জেনারেল বেডে খরচ ৩৫ টাকা। তার মধ্যে মিলবে খাবারও। এই হাসপাতালের ফলে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন এক দিগন্ত খুলে গেলে বলেই মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)