হুগলির শিশু মৃত্যুতে পরতে পরতে রহস্য উঠে আসছে। আট বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শান্তা শর্মা এবং তার বান্ধবী ইফফাত পারভিন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তারা সমপ্রেমী সম্পর্কে ছিল। আর এই সম্পর্কে যাতে কোনও বাধা না থাকে সেই কারণেই ছোট্ট শ্রেয়াংশকে হত্যা করা হতে পারে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।এই ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য উঠে আসছে। জানা যাচ্ছিল, শান্তা শর্মার স্বামীর টাক পছন্দ ছিল না। কিছুটা নিমরাজি হয়েই সে বিয়ে করে। যদিও মনে মনে সে তা মেনে নিতে পারছিল না। স্ত্রীর এই অস্বস্তি সম্পর্কে অবগতই ছিলেন না স্বামী!পঙ্কজ শর্মা এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, 'বিয়ের পর ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। কয়েক বছর খুব ভালো কেটেছে। ও কোনওদিন আমাকে বলেনি যে টাক নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে। যদি কেউ সমস্যার কথা বলে সেক্ষেত্রে তো তার সমাধান করা যায়! কেউ যদি সমস্যার কথা না বলে তাহলে কী ভাবে বুঝব!'পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গে যে পারভিনের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে, তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি তিনি। পঙ্কজ বলেন, 'আসলে পারভিন মেয়ে। ওর সঙ্গে স্ত্রীর অন্য কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে, তা ভাবতেও পারিনি। ওরা সকলের সামনেই কথা বলত। কেউ এই নিয়ে আপত্তি করেনি।' স্ত্রী সন্তান খুনে অভিযুক্ত, এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না পঙ্কজ।তিনি বলেন, ‘এখনও আমি বলব যে আলাদা করে কারও প্রতি আমার সন্দেহ নেই। তবে ভেতরের কেউ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে আমার মনে হচ্ছিল। যে বা যারা আমার সন্তানের খুনের ঘটনায় যুক্ত তাদের ফাঁসির দাবি করছি।’জানা যায়, শান্তা এবং পারভিন মাঝে দু’বার ঘুরতেও গিয়েছিল। সেই সময় বিস্তর সময় একসঙ্গে কাটায় তারা। পুলিশি জেলায় শান্তা এবং পারভিন বারবার একে অপরের খোঁজ করছে বলেই জানা গিয়েছে। শান্তা এবং পারভিন তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না, সূত্রের খবর এমনটাই।শান্তা আদালতে যাওয়ার সময় প্রথমবার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ওকে মারিনি।’ তবে কারও উপর তার সন্দেহ রয়েছে কিনা, সেই প্রসঙ্গে অবশ্য মুখ খোলেনি শান্তা। কোন্নগরের ঘটনায় তদন্ত চালানো হচ্ছে। কোন দিকে মোড় নেই সেই তদন্ত? এখন সব নজর সেই দিকেই।