জোরকদমে চলছে সেবক - রংপো রেল প্রকল্পের কাজ। আর এই প্রকল্পের আওতায় নতুন করে সেজে উঠছে সেবক স্টেশনও। প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দর সিং-এর কথায় জানা গেল এমনটাই। এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষারকারে মহিন্দর সিং জানান, সেবক স্টেশন শিলিগুড়ি থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এতদিন এখানে ৩টি লাইন ছিল। এবার সেখানে লাইনের সংখ্যা বাড়ান হচ্ছে। ৪টি প্ল্যাটফর্মও তৈরি হচ্ছে।মহিন্দর সিং আরও জানান, সেবক - রংপো প্রকল্প মোট ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। তার মধ্যে সাড়ে ৩ কিলোমিটার সিকিমে পড়ছে। বাকি ৪১.৫ কিলোমিটার বসছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ১৪টি সুড়ঙ্গ রয়েছে। আর এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমেই অতিক্রম হচ্ছে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৩৫ থেকে সাড়ে ৩৫ কিলোমিটার সুড়ঙ্গের খননকার্য হয়ে গিয়েছে। সাড়ে ১০ কিলোমিটারের কাছাকাছি ল্যান্ডিংও হয়ে গিয়েছে। আগামী মাস থেকেই শুরু হবে লাইন পাতার কাজ। ৮ সুড়ঙ্গের খননকার্য সমাপ্ত হয়েছে।জানা গিয়েছে, এই যাত্রাপথে ১৩টি মেজর এবং ৯টি মাইনর ব্রিজ রয়েছে। সমস্ত ব্রিজের ফাউন্ডেশনও হয়ে গিয়েছে। ১২ টি ব্রিজের কাঠামোও হয়ে গিয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে ৩টি ব্রিজের গার্ডার লাগানোর কাজ। বাকি ব্রিজের কাজ হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ব্রিজের কাজ হয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রায় ৮৬ শতাংশ পথ সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে কাজের সময় অনেক প্রতিবন্ধকতাও থাকে। সেই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় কখনও কখনও জলও চলে আসে। তার জেরেও কাজে সমস্যা তৈরি হয়। মহিন্দর সিং বলেন, 'প্রকল্পের ৬০ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন কার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।' এক্ষেত্রে সেভকে থেকে রংপো পর্যন্ত সিকিমের প্রথম রেলওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে ওই সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে।প্রসঙ্গত, বহু মানুষই বছর বছর উত্তরবঙ্গ হয়ে সিকিমে বেড়াতে যান। শুধুমাত্র বাংলার নয়, অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রচুর পর্যটক উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে অনেকটাই ঘুরতে যান। সেক্ষেত্রে এর ফলে পর্যটকদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এখন শুধু এই প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।