রোদ থাকলেও তেজ নেই। কম্বল গায়ে দেওয়ার মতো ঠান্ডা বিদায় নিয়েছে বেশ কয়েক দিন আগেই। তবে শেষ রাতের দিকে শীতের হালকা একটা আমেজ এখনও থেকে গিয়েছে। থাকার কথা নয়, দিনপাঁচেক আগেও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর ছাড়িয়েছিল। রাতের তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির দরজা নাড়ার তোড়জোড়ও শুরু করেছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই।পরের কয়েক দিনে তাপমাত্রা আর সে ভাবে বাড়তে পারেনি দক্ষিণবঙ্গে। ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখের পর থেকে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রিতে আটকে রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২০ ডিগ্রির ঘরে। ছত্তিসগড়ের উপর তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং বঙ্গোপসাগরের উত্তরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত জন্ম নেওয়ার ফলেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশে মেঘের আস্তরণ এবং তার প্রভাবেই তাপমাত্রায় লাগাম। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন অংশে দফায় দফায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।আজ, সোমবার মোটের উপর দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলাই শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের আবহবিদরা। তবে আগামী কাল, মঙ্গলবার ফের দক্ষিণবঙ্গের সবক’টি জেলাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে আজ দেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে নতুন করে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢোকার সম্ভাবনা খুব বেশি।এর পাশাপাশি একই সঙ্গে রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের উপর আলাদা করে দু’টি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ফলে আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে দেশের ওই প্রান্তে। বাদ নেই দেশের পূর্ব প্রান্তও। ছত্তিসগড়ের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমাণ জলীয় ঢুকছে দেশের মূল ভূখণ্ডে। এর প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশে হালকা মেঘের সঞ্চার হয়েছে এবং দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করার পরেও কিছুটা থমকেছে। যদিও এটা একেবারেই সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে। সামনের সপ্তাহ থেকে দক্ষিণবঙ্গের পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে, এমনটাই পূর্বাভাস।