Kolkata Bus Service : খুচরোর ঝঞ্ঝাট এড়াতে বাসে অনলাইন টিকিট, উদ্যোগ পরিবহণ দপ্তরের
এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হাওড়া স্টেশন থেকে রথতলা যাবেন। কিন্তু খুচরো টাকা পকেটে না থাকায় কী ভাবে ভাড়া মেটাবেন, তা নিয়ে অনেকেই বাসে ওঠার আগে বড় নোট ভাঙানোর চেষ্টা করেন। খুচরো না থাকার কারণে কন্ডাক্টরের সঙ্গে অনেক সময়েই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা। এমনকী, মাঝপথে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও বিরল নয়।এই সমস্যা মেটাতে এ বার দূরপাল্পার বাসের মতো সিটি-সাবার্বান (শহর ও শহরতলি)-এর ক্ষেত্রে অনলাইনেই টিকিট কাটার ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে পরিবহণ দপ্তর। যেখানে বাসে ওঠার আগেই টিকিট কেটে নিতে পারবেন যাত্রীরা। তবে শুধুমাত্র সরকারি বাসের টিকিটই মিলবে অনলাইনে। কারণ, বেসরকারি বাসগুলিতে এই ব্যবস্থা চালু করা আপাতত সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।এর পিছনের যুক্তিটিও ব্যাখ্যা করছেন এঁরা। প্রতিনিধিদের বক্তব্য, নাগেরবাজার-সায়েন্স সিটি (২০২) রুটে ২২টি বাস চলে। সব বাসের মালিক একজন নন। অন্য রুটের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এক। তাই বেসরকারি বাসগুলিতে অনলাইন টিকিট চালু করা বেশ মুশকিল। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের কিউআর কোডের মাধ্যমে ভাড়া আদায়ের পথে হাঁটতে বলেছে পরিবহণ দপ্তর।দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে খুচরো নিয়ে যাত্রী-কন্ডাক্টর ঝগড়ায় ইতি টানা যাবে। দীর্ঘদিন ধরেই যাত্রীদের অনেকেই কলকাতা এবং শহরতলির মধ্যে চলাচল করা বাসে আগাম টিকিটের সুযোগ পাওয়ার দাবি তুলছেন। এই বাসগুলির টিকিট যাত্রী-সাথী অ্যাপে মিলবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। কলকাতায় হাতেগোনা কয়েকটি রুটে কিআর কোড স্ক্যানার রয়েছে।যাত্রীরা চাইছেন, এই সুযোগ সব বাসেই থাকুক। এ প্রসঙ্গে কসবার বাসিন্দা বিদিশা চৌধুরী বলছেন, ‘চায়ের দোকানেও এখন কিআর কোডের মাধ্যমে টাকা মেটানো যায়। বাসে অনেকদিন আগেই এই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করা উচিত ছিল।’ সঙ্গে খুচরো না থাকায় বেশ কয়েকবার কন্ডাক্টর মাঝরাস্তায় বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ দমদমের বাসিন্দা দোলন কর্মকারের।ডিজিটাল মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীদের হয়রানি কমবে বলে আশা এই কলেজ ছাত্রীর। এ ব্যাপারে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘অনেক যাত্রীই এখন অ্যাপের মাধ্যমে লোকাল ট্রেনের টিকিট আগাম কেটে নেন। এতে যাত্রীদের অনেক সুবিধে হয়েছে। বাস-ভাড়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করলেও তাঁদের সুবিধে হবে।তা ছাড়া, টাকাও সরাসরি বাস মালিকের কাছে পৌঁছবে।’ অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে বাসে কিআর কোড স্ক্যানার বসানোর ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই সব বাসে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।’