জল আসার কথা দিনে তিন বার। সেখানে আসছে এক থেকে দু’বার। তাতেও জলের যা গতি, তাতে এক বালতি জল ভর্তি হতেই লাগছে ১০ মিনিট। ছবিটা দমদম রোড লাগোয়া মধুগড়, পূর্ব সিঁথি, প্রমোদনগর এলাকার। বাধ্য হয়েই তাই বাজার থেকে কিনে খেতে হচ্ছে জল। ফেব্রুয়ারি মাসেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে এপ্রিল-মে মাস নাগাদ পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে এখন থেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১ থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অনেকেই।কারণ, ওই সময়ে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে জলের চাহিদাও। মধুগড়ের বাসিন্দা বিপাশা সেনগুপ্তর বক্তব্য, ‘এখনই যদি পুরসভা জলের গতি বাড়াতে উদ্যোগী না হয়, তাহলে গরমের সময়ে যে ২০ লিটার জলের জার ৩০-৪০ টাকায় মিলছে, সেটাই দ্বিগুণ দামে কিনতে হবে।’শুধু জলের গতিই যে কমে গেছে তা নয়। যে জল আসছে সেটাও খাওয়ার উপযুক্ত নয় বলে অভিযোগ পূর্ব সিঁথির বাসিন্দা তরুণ মাইতির। পুর এলাকারা বাসিন্দাদের প্রশ্ন, আয়ের দিক থেকে কলকাতা লাগোয়া পুরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ দমদম। তার পরেও কেন পানীয় জলের ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হতে পারল না পুরসভা?সূত্রের খবর, পুর-এলাকায় প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন গ্যালন জলের প্রয়োজন। বর্তমানে বিভিন্ন জলপ্রকল্প ও নিজস্ব জলাধার থেকে আসছে ৭ মিলিয়ন গ্যালন জল। সে কারণেই পর্যাপ্ত জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। কেন চাহিদা মতো জল আসছে না? কামারহাটি জল প্রকল্প থেকে যে জল দক্ষিণ দমদমে এতদিন সরবরাহ করা হতো, তা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কম আসছে।কারণ, সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। এই সমস্যার কথা কেএমডিএকে জানানো হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার তরফে। যদিও এখনও পর্যন্ত সমস্যা মেটেনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কামারহাটি থেকে যে জল আসছে, সেটাও বাসিন্দাদের বাড়িতে পুরোপুরি যাচ্ছে না। কারণ, একাধিক জায়গায় জল সরবরাহের পাইপে ফুটো রয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে মেরামত করা হয়নি। পুরসভার অবশ্য দাবি, পানীয় জলের লাইনে কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) মৃন্ময় দাস বলেন, ‘পানীয় জল সংক্রান্ত অভিযোগ তেমন আসেনি। যেখান থেকে আসছে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যাওয়ার কারণেও সমস্যা হচ্ছে কয়েকটি জায়গায়।’