• Ganga Pollution : গঙ্গার দূষণ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে তদন্ত-দল, নির্দেশ পরিবেশ আদালতের
    এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • গঙ্গার দূষণ প্রসঙ্গে কড়া অবস্থান নিল জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)। গঙ্গার জল কোথায় কী ভাবে দূষিত হচ্ছে, তা দেখবে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্তকারী দল। সেই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে এনজিটি। কারা, কী ভাবে দূষণের জন্য দায়ী, সেটা স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে রিপোর্টে।বিষয়টি হাওড়ার মধ্যে বলে হাওড়ার জেলাশাসককে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যারা এই মামলায় পার্টি, নোটিস পাঠিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের হলফনামা তলব করেছে আদালত। মঙ্গলবার এনজিটি-র পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য সত্যগোপাল কোরলাপতি এই নির্দেশ দেন।আদালতের নির্দেশ - তদন্তকারী দলে রাজ্য এবং কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির একজন করে সিনিয়র বিজ্ঞানীকে রাখতে হবে। 'ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা অথরিটি'-রও এক সিনিয়র বিজ্ঞানীকে রাখতে হবে দলে। কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার একজন করে সিনিয়র অফিসার থাকবেন।থাকবেন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের একজন সিনিয়র অফিসার। নিজেদের হলফনামার সঙ্গে দলের রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কমিটির সদস্যদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবেন হাওড়ার জেলাশাসক। গঙ্গাদূষণ নিয়ে মামলাটি করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি নিজের তোলা ছবির সাহায্যে দেখান দূষণ হচ্ছে কী ভাবে। তথ্য-সহই মামলা করেন সুভাষ।সেখানে বলা হয়, রানি রাসমণি ঘাট, নিমতলা ঘাট, বাগবাজার ঘাট, কাশীমিত্র ঘাট, শোভাবাজার ঘাট, মল্লিক ঘাট-সহ হাওড়া এবং কলকাতায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক ঘাটের ধারে ডাঁই করা রয়েছে বর্জ্য। যা মিশছে নদীর জলে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে খোলা নর্দমা দিয়েও দূষিত জল মিশছে গঙ্গায়। পুরসভার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন শিল্পের তরল বর্জ্যও। সুপ্রিম-নির্দেশে এই তরল বর্জ্যকে ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিশোধন করে গঙ্গায় ফেলার কথা।কিন্তু সে দিক থেকে সবচেয়ে বড় অব্যবস্থার নজির মিলেছে হাওড়ায়। শিবপুরের বিচালি ঘাটের পাড়ে স্বর্ণশিল্পের বেশ কিছু কারখানা আছে। সোনার গয়নার কাজে প্রচুর অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। সেই অ্যাসিড জলও মেশে নদীতে। আবার, শিবপুরের টোপিওয়ালা ঘাটে ফি সকালে ডিটারজেন্ট এবং সোডা ব্যবহার করে চলে কাপড় কাচা। যার জেরেও দূষিত হচ্ছে গঙ্গা। এ বাদে পোশাক ডাই করার কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিকও পড়ে গঙ্গার জলে।
  • Link to this news (এই সময়)