বর্তমানে তিনি জন সূরষ অভিযানের প্রতিষ্ঠাতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর কতটা এগিয়ে রাখছে গেরুয়া শিবিরকে? তাঁর কথায়, 'দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মোদীকে পছন্দ করেন না। তবে ভোটটা EVM-এ পদ্ম চিহ্নেই বোতাম টিপবেন।' কারণ কী?নিজে প্রশ্ন তুলে সে প্রশ্নের জবাবও নিজেই দিয়েছেন পিকে। তাঁর দাবি, 'এ দেশে মোদীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কোনও শক্তিশালী বিরোধী নেই। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্যই BJP আজ এত শক্তিশালী।''মোদীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কোনও বিরোধী নেই'প্রশান্ত কিশোর বলেন, '২০১৯ সালে ১০০ জনের মধ্যে ৩৮ জন মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ৬২ জন ছিলেন বিপক্ষে। সে সময় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কেন্দ্রের সরকারের বিপক্ষে ছিলেন। তবে সেই ৬২ জন ভোটার বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ নয়। বিচ্ছিন্নভাবে নানা রাজনৈতিক দলের মধ্যে তাঁদের ভোট ঘোরাফেরা করে। কেউ এই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভোটারদের এককাট্টা করে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল কিংবা জোটের পক্ষে আনতে পারেনি। ফলে এর থেকে ফায়দা লুটছে কেন্দ্রের সরকার।' কেন লাগাতার BJP-ই কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হচ্ছে? উত্তর পিকে বলেন, 'BJP নাগাড়ে জিতছে কারণ যারা বিরোধী তারা একজোট হতে পারছে না এবং ভোটারদের নিজেদের পক্ষে আনতে পারছে না।''প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়া BJP ক্ষমতাহীন'সংবাদমাধ্যমের আলাপচারিতায় প্রশান্ত কিশোরকে প্রশ্ন করা হয় লোকসভা নির্বাচনে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা কতটা প্রভাব ফেলবে? তাঁর জবাব, 'ভোটাররা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষেই ঝুঁকে। হ্যাঁ, অযোধ্যার রাম মন্দির একটা বড় ইস্যু। তবে এই সমস্ত সমীকরণ থেকে মোদীকে বাদ দিলে BJP-র পক্ষে চ্যালেঞ্জ বড্ড কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এটা ওরা নিজেরাই বিশ্বাস করে।'নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো শক্তিশালী বিরোধীর অভাবপ্রশান্ত কিশোরউল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর দলেরই ভোট কুশলী ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এ ছাড়াও তিনি JDU-RJD মহাগঠবন্ধন, DMK, তৃণমূল কংগ্রেস এবং YSRC-র সঙ্গেও ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২২ সালের তিনি নিজস্ব রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম জন সূরয অভিযান তৈরি করেন। সে বছরই তিনি কংগ্রেসের ডাকে দলে যোগদান করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূরযেওয়ালা এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, 'প্রশান্ত কিশোরের একটি প্রেজেন্টেশন এবং তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার পর কংগ্রেস সভাপতি একটি শক্তিশালী অ্যাকশন গ্রুপ ২০২৪ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশান্ত কিশোরকে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই অ্যাকশন গ্রুপের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও দলকে দেওয়া তাঁর পরামর্শ এবং প্রচেষ্টার জন্য আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।'