• গুমায় শ্যুটআউট, তৃণমূলের উপপ্রধানকে বাড়িতে ঢুকে খুন
    এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে গুলি করে খুন। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার গুমায়। নিহতের নাম বিজন দাস। মাথায় ও কানে গুলি লেগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন বিজন দাস। সেই সময় বাড়ির ভিতর ঢুকে ওই উপপ্রধানকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই নিয়ে আসা হয় বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বিরোধী পক্ষের লোকেরাই তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বিজন দাসকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গৌতম দাস নামে এলাকারই এক ব্যক্তির নাম উঠে আসছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।এদিক ঘটনার খবর পেয়ে বারাসত হাসপাতালে পৌঁছন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী মুখোপাধ্যায় ও সিআইসি সৌমেন আচার্য। এই প্রসঙ্গে রাউতলা অঞ্চলের প্রধান মানবকল্যাণ মজুমদার বলেন, 'রাত ১১টা নাগাদ শুনতে পাই যে বিজন দাসকে কেউ বা কারা গুলি করেছে এবং মারার চক্রান্ত করেছে। তারপর সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম তাঁকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে এবং মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের অনেক সময় শত্রু সামনাসামনি থাকে না, কিন্তু শত্রু তৈরি হয়ে যায়, তেমনই কেউ আছে কি না আমাদের জানা ছিল না। আমাদের এলাকা শান্তিপূর্ণ। আগে কোনওদিন এমন ঘটেনি। এটা পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, আর সম্পূর্ণ বিরোধী দলের চক্রান্ত বলেই মনে করছি।'এলাকার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, 'মর্মান্তিক ঘটনা, দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বিজন দাস ছাত্র - যুব রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানে উপপ্রধান ছিল, তাঁকে যে এভাবে খুন হতে হল সেটা অবিশ্বাস্য লাগছে। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে।' তবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এাকায়। কে বা কারা, কেন তাঁকে খুন করল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। রাজনৈতিক কোনও শত্রুতা, নাকি পুরনো কোনও আক্রোশের জেরেই এই খুন সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছ। ঘটনায় শোকে পাথর নিহতের পরিবার। দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
  • Link to this news (এই সময়)