'শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও বাধা নেই', এবার এমনটাই স্পষ্ট করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম তা স্পষ্ট জানিয়েছেন।এদিন এই মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। শেখ শাহজাহানকে সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। সংবাদপত্রে রেজিস্ট্রার জেনারেল পাবলিক নোটিশ দিয়ে জানাবেন তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে, এমনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, সন্দেশখালি মামলায় কাউকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। তাই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধা নেই। তাঁকে গ্রেফতার করা প্রয়োজনীয়, মত আদালতের।সন্দেশখালিতে শুধু দু'জনকে যেতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের অপব্যবহার কেউ যেন না করে, জানান প্রধান বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, রাজ্য লিগল সার্ভিস অথরিটি মহিলাদের অভিযোগ নেবে। আদালত বান্ধব সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন কি না তা পরের শুনানিতে নির্দিষ্ট করা হবে। পাশাপাশি এদিন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'সন্দেশখালিতে সবাই বেরিয়ে এসে টেলিভিশনে বক্তব্য রাখছেন। এতে হিরো হওয়া যায় না। এরা শহুরে জীবনে থাকে না। অন্য প্রভাব পড়তে পারে।'এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে প্রধান বিচারপতি বলেন, ' জেলা পরিষদ কে কী ভাবে নোটিশ দেওয়া যায়? আমরা জেনেছি আগাম জামিন চেয়েছেন অভিযুক্ত।' আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ বলেন, 'একজন সাংসদ বলছেন, বলা হচ্ছে আদালতের জন্যই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়নি। এটা স্পষ্ট করা দরকার কোথাও স্টে নেই।'প্রধান বিচারপতি এদিন অ্যাডভকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, 'কোথায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে?' এজি বলেন, 'ED-র উপর হামলার ঘটনায় সিট গঠন করা হয়। সেই সিটে স্টে।' এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমরা স্পষ্ট করছি রাজ্য পুলিশকে এই ধরনের কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। পুলিশকে ওই জেলা পরিষদের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে বাধা দেয়নি। জেলা পরিষদ সদস্যকে যেহেতু খুঁজে পাওয়া যায়নি তাই সংবাদপত্র একটি নোটিশ জারি করতে হবে।'এদিন আদালত বান্ধবের আর্জি, 'আমরা সন্দেশখালিতে যেতে চাই।' এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'নির্যাতিতারা পুলিশের কাছে যেতে না চাইলে DLSA লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।' আদালত বান্ধব সন্দেশখালিতে যাবেন কিনা তা পরবর্তী শুনানিতে নির্ধারিত করা হবে।