• সিরাজের হাত ধরে তৃণমূলে, কী ভাবে উত্থান সন্দেশখালির অজিত মাইতির?
    এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • রবিবার দুপুর থেকে তাঁকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। জনতার রোষের মুখে পড়ে আশ্রয় নেন অন্যের বাড়িতে। তারপর সন্ধ্যায় তাঁকে আটক করে পুলিশ। আর আজ সেই অজিত মাইতির গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে গ্রামবাসীদের।কী ভাবে উত্থান?স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের আগে বিজেপিতে ছিলেন অজিত মাইতি। বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের পর যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শেখা শাহাজাহানের ভাই সিরাজুদ্দিন ওরফে সিরাজ ডাক্তারের (কোয়াক ডাক্তার) হাত ধরে ২০১৯ সালের পর থেকে উত্থান অজিত মাইতির। তারপর থেকেই নানান অভিযোগ উঠতে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও অজিতের পালটা দাবি তাঁকে মারধর করে তৃণমূলে আনা হয়।কী কী অভিযোগ?সিরাজের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত হন অজিত মাইতি। বেড়মজুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পান। শেখ সিরাজের 'কাছের লোক' হওয়ায় এলাকায় মাছের ভেরির ব্যবসাও শুরু করেন তিনি। এলাকার বহু বাসিন্দার চাষের জমি দখল করা ও সেখানে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছের ভেড়ির ব্যবসা শুরু করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় অভিযোগ, সিরাজ ডাক্তারের হয়ে এলাকাবাসীদের হুমকিও দিতেন তিনি। জোর করে তৃণমূলের মিটিংয়ে মিছিলে নিয়ে যাওয়া, না গেলে বাড়িঘর ভাঙচুর করা থেকে শুরু করে আরও নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।তবে সম্প্রতি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি উত্তপ্ত হওয়ার পর থেকে একে একে উঠে আসতে থাকে শাহহাজান ঘনিষ্ঠ অনেকের নাম। গ্রেফতার হয় শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের মতো তৃণমূল নেতারা। এমনকী শেখ শাহাজাহানের দুই ভাইয়ের নামও উঠে আসে ঘটনায়। আর সেই সূত্র ধরেই গ্রামবাসীদের মুখে আসেন এই অজিত মাইতির নাম। গত শুক্রবার সিরাজের ভেড়ির আলাঘড়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই দিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও। আর রবিবার তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এদিন গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে লুকিয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। বাড়ির গেট বন্ধ করে দিয়ে দীর্ঘ সময় সেখানেই ছিলেন তিনি। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। আর সোমবার তাঁর গ্রেফতারির খবর সামনে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর জমি দখল ও সেখানে ভেড়ি তৈরির অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার মাঝেই অজিতকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি করা হয়। তবে পরে দলের তরফে জানান হয় তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজই অজিতকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ।
  • Link to this news (এই সময়)