• রাস্তার জন্য জমি পরিদর্শনে প্রশাসন
    এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • যানজট মোকাবিলায় চাঁপদানির ডিভিসি খাল থেকে দিল্লি রোড পর্যন্ত প্রস্তাবিত রাস্তার জমি সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন প্রশাসনের কর্তারা। চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই, চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র, চন্দননগরের মহকুমাশাসক বিষ্ণু দাস ও প্রশাসনের কর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনার ক্ষেত্রে প্রশাসনের উদ্যোগ দেখে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া-বর্ধমান শাখায় বৈদ্যবাটি রেলগেটে ওভারব্রিজ তৈরির দাবি অনেক দিনের। কিন্তু বেশ কয়েকবার রেল দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারেরা রেলগেট পরিদর্শন করেন। কিন্তু রেল গেটের পূর্ব-পশ্চিম পাড়ে পর্যাপ্ত জমি না থাকায় রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরির কাজ বাতিল হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যবাটি রেলগেট অনেকক্ষণ সময় ধরে বন্ধ থাকে।সেই কারণে কলকাতা বর্ধমানগামী ট্রাক ও অন্য যানবাহন ছাড়াও বিভিন্ন রুটের বাস থমকে থাকে। ফলে নিত্য যানজটে যাতায়াতে মানুষের সমস্যা হয়। স্থানীয়দের সমস্যা দূর করার জন্য বাসিন্দাদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই ডিভিসি খাল জিটি রোড থেকে দিল্লি রোড পর্যন্ত রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেন। সেই সঙ্গে চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র ও বিধায়ককে প্রস্তাব দেন।যানজট কাটিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে জেলাশাসক মুক্তা আর্যকে লিখিত আর্জি জানানো হয়। রাস্তা তৈরির প্রস্তাবের গুরুত্ব বিবেচনা করে জেলাশাসক চন্দননগরের মহকুমাশাসক বিষ্ণু দাসকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তথ্য দিতে বলেন মুক্তা। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা হয়ে গেলে যাতায়াতে সুবিধা হবে বলে মনে করেন চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র।তিনি বলেন, ‘চাঁপদানি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখানে নিত্য দিন একাধিক কারখানার ভারী যানবাহন চলাচল করে। সেক্ষেত্রে রেলগেট বন্ধ থাকায় মানুষের রোজকার ভোগান্তি তো আছেই। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।’বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘শ্রীরামপুর, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর, চুঁচুড়া ও মানকুণ্ডুর মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে দিল্লি রোডের সরাসরি যোগাযোগ থাকলেও শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর চাঁপদানির সঙ্গে দিল্লি রোডের কোনও সংযোগ নেই। সেই কারণে চাঁপদানির ডিভিসি খালের সামনে দিয়ে পিচ রাস্তা তৈরি করা হলে চাঁপদানি শহরবাসীর চলাফেরার পথ যানজট মুক্ত হবে। আমরা রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। সেটাই এ দিন প্রশাসনের লোকজন খতিয়ে দেখেছেন। আমরা নতুন রাস্তা তৈরি নিয়ে আশাবাদী।’
  • Link to this news (এই সময়)