লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে রাজ্যসভার জন্য শমীক ভট্টাচার্যকেই বেছে নিয়েছে BJP। একই সঙ্গে মুখপাত্রর দায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে। লোকসভা নির্বাচনের আগে ধীরে ধীরে বঙ্গ জমি আরও শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। ভোট সংখ্যার নিরিখে যাতে আরও উর্বর হয় সেই জমি, সেই লক্ষ্যে সামান্যতম ফাক ফোকর রাখতে নারাজ গেরুয়া শিবির। আর এই লক্ষ্যে রাজ্য BJP-র মুখপাত্র যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট। এই মুহূর্তে শমীকের কাঁধে বঙ্গ বিজেপির গুরুদায়িত্ব।এদিকে জীবনের অধিকাংশ সময় দলকেই সঁপেছেন শমীক। নিজের বাড়ি-গাড়ি নেই। কিছু অর্থ উত্তরাধিকার সূত্রে অবশ্য পেয়েছেন, নিজেই জানালেন তিনি। নির্দিষ্ট নিয়ম মোতাবেক সাংসদদের হলফনামা জমা দিয়ে সম্পত্তির হিসাব দিতে হয়।হলফনামায় শমীক জানিয়েছেন, তাঁর কোনও গাড়ি নেই। তবে সোনা রয়েছে ১৫০ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯ লাখ ৬ হাজার ৯০০ টাকা। হলফনামা জমা দেওয়ার সময় শমীকের হাতে ছিল ১৫ হাজার টাকা। এই বিজেপি নেতা জানান, তিনি যেই বাড়িতে থাকেন, সেটাও তাঁর নয়।হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে তাঁর আয় ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩০, ২০১৯-২০ সালে তাঁর আয় ছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার, ২০২০-২১ সালে তাঁর আয় ছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার, ২০২১-২২ সালে তাঁর আয় ছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪০ এবং ২০২২-২৩ সালে তাঁর আয় ১২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫০।শমিক ভট্টাচার্যের হলফনামাশমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার বাবা-মার মৃত্যুর পর তাঁদের ফিক্সড ডিপোজিটগুলো আমার নামে ট্রান্সফার হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত কোনও রোজগার নেই। কোনও বাড়ি-গাড়ি নেই। আমি একটা একটি সংস্থায় ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর ছিলাম। বছর দুয়েক কিছু ফিস পেতাম। ১৯৮৪ সাল থেকে আমি পার্টির প্রতি পুরোপুরি নিবেদিত।’এই হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬ লাখ ২২ হাজার ২৮৮। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৪১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬। হলফনামা জমা দেওয়ার সময় তাঁর হাতে ছিল ১৫ হাজার টাকা।শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্যসভায় পাঠানো BJP-র মাস্টার স্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে। বঙ্গ BJP-র এক পদাধিকারীর কথায়, 'যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে ততই ঘটনার ঘনঘটা হতে চলেছে। সেই ইস্যুগুলিতে দলের মন্তব্য এবং মতামত-দৃষ্টিভঙ্গি সামনে রাখার জন্য শমীকদার মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিকের প্রয়োজন রয়েছে।'