Japan Slim Mission: ঘুম ভাঙেনি চন্দ্রযান ৩-এর! চাঁদে ১৫ দিন পর এক ডাকেই 'স্লিপ' ব্রেক স্লিমের
এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত বছরের ২৩ অগাস্ট ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। ওই দিন ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফল ভাবে অবতরণ করে চাঁদের বুকে। সঙ্গে সঙ্গে রচিত হয় ইতিহাসের এক নয়া অধ্যায়। চাঁদে এক চন্দ্রকাল তথা পৃথিবীর হিসেবে ১৫ দিন টাস্ক পূরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। আর সেই টাস্ক পূরণের শেষে চাঁদে রাত ঘনিয়ে আসছে 'নিদ্রায়' চলে গিয়েছে। অনেকবার ডাকাডাকি করলেও এখনও পর্যন্ত নিদ্রাভঙ্গ হয়নি। যদিও দ্বিতীয়বার ঘুম থেকে ওঠার দায়ও তার ছিল না। তবুও বিজ্ঞানীদের ক্ষীণ আশা ছিল 'ভাগ্য ভালো থাকলে' পুনরায় চাঁদের বুকে সূর্যের আলো পেয়ে জেগে উঠতে পারে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। তবে তা আর হয়নি। তবে যা হয়নি ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর ক্ষেত্রে তা সম্ভব হল জাপানের চন্দ্রযানের ক্ষেত্রে। চাঁদে রাত কাটানোর পর ল্যন্ডার 'স্লিম'-এর ঘুম ভাঙল। ডাকাডাকিতে মিলল সাড়া।গত মাসে চাঁদে মহাকাশযান পাঠায় জাপান। জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সা দাবি করে, সফল ভাবে চাঁদে পৌঁছেছে মহাকাশযান 'স্লিম'। যদিও অবতরণের সময় কিছু খানিক গোলযোগ হয়। প্রথমের দিকে কাজ করছিল না সৌর প্যানেলগুলি। চাঁদে পৌঁছে সূর্যের আলোয় কাজ করতে পারছিল না স্লিমের যন্ত্রপাতিগুলি। যন্ত্রের মধ্যে থাকা সোলার প্যানেলগুলি সূর্যালোকের উলটো দিকে ঘুরে যায়, সেই কারণেই কাজে বাধা তৈরি হচ্ছিল। সমস্যা সমাধানে ক্রমাগত চেষ্টা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে কাজের কাজ হচ্ছিল না। জাপানের চন্দ্রাভিযানকে সেখানেই স্তব্ধ বলে ধরা নেওয়া হলেও জাক্সা অভিযানকে ব্যর্থ বলে মেনে নিতে রাজি হয়নি। ওই সংস্থার দাবি, পঞ্চম দেশ হিসেবে জাপানই পৌঁছেছে চাঁদে।তবে সূর্যের আলোর অভিমুখ পরিবর্তনের পর দুই দিনের জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে স্লিম। ওই দুই দিন বেশ কিছু প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। চাঁদের একটি গর্ত পর্যবেক্ষণ করে বেশ কিছু ছবিও পাঠিয়েছিল এই মহাকাশযান। তবে এরপর অবশ্য চাঁদের অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। চাঁদের বুকে রাত নামতেই ঘুমিয়ে পড়ে স্লিম। অন্ধকারে দুই সপ্তাহ ঘুমিয়ে থাকার ফের আবার স্লিমের জেগে ওঠার খবর মিলেছে। কারণ চাঁদের আবার সূর্য উঠেছে। সূর্যের আলো পড়ছে স্লিমের সোলার প্যানেলগুলিতে। তারপরই সেগুলি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চাঁদে কঠিন আবহওয়ার মধ্য়ে রাত কাটানোর পরও সক্রিয় রয়েছে স্লিমের যোগাযোগ ব্যবস্থাও। চাঁদের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে ল্যান্ডারের যন্ত্রগুলিকে আবার সক্রিয় করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে। এই যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ফের আবার বৈজ্ঞানিক কাজ চালাতে চায় তারা।২০ জানুয়ারি চাঁদের বুকে জাপানের মহাকাশযানের অবতরণের সমস্যা দেখার দেওয়ার পরই অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এযাত্রায় জাপানের অধরাই রয়েছে চন্দ্র জয়ের স্বপ্ন। চাঁদে চরম ঠান্ডায় রাত কাটানোর পর সংস্থাও নিশ্চিত ছিল না যে এই যন্ত্র ফের জেগে উঠবে কি না। তবে সূর্যের আলো পড়তেই ল্য়ান্ডারটি আবার সক্রিয় হওয়াতে বিজ্ঞানী মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।