নাম দিয়ে যায় চেনা! এই প্রবাদ বোধহয় অজিত মাইতির ক্ষেত্রে এই সময় প্রযোজ্য নয়। একজন সন্দেশখালি থেকে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা, অপরজন তৃণমূল বিধায়ক। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই বিধায়ক অজিত মাইতির সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেলছেন। এমনকী, মেদিনীপুরের এই নেতার ছবি সাঁটিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে দেদার প্রচার।শারীরিক সমস্যার কারণে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি বিধায়ক অজিত মাইতি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়েই তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, যে সন্দেশখালির নেতা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর সঙ্গে নামের মিলটুকু ছাড়া আর কোনও যোগ নেই। এমনকী, তিনি জীবনে কোনওদিন সন্দেশখালিতে যাননি।অন্যদিকে, এদিন তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দেব। অভিনেতার সঙ্গে তাঁর একপ্রস্ত কথাও হয়। বিধায়ক কেমন আছেন? সেই খোঁজখবরও নেন তারকা সাংসদ।তিনি হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে একটি ভিডিয়ো করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, 'আমি আটদিন কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। আমার হার্ট সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অপারেশন করতে হয়েছে। আমি সন্দেশখালির অজিত মাইতি নই। আমি সন্দেশখালিতে জীবনে যাইনি। আমি কোনও অঞ্চল সভাপতি নয়। আমি একজন বিধায়ক। আমার নাম অনেকেই চেনেন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে রয়েছে, কবে ছাড়বে জানি না। কেন আমার নাম ব্যবহার করা হচ্ছে জানি না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা করা হতে পারে।’তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই সন্দেশখালির অজিত মাইতির জায়গায় আমার ছবি ব্যবহার করছে। এতে আমার চেনা পরিচিতরা অনেক দুঃখ পাচ্ছে, তারা কষ্ট পাচ্ছে। এরপরেও কেউ প্রচার করলে আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা বলে মনে করতে হবে।’গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে লুকিয়ে ছিলেন! গ্রেফতার অজিত মাইতিঅর্থাৎ হাসপাতালে শুয়ে শুয়েও সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার নিয়ে কার্যত বিব্রত বোধ করেন অজিত মাইতি। উল্লেখ্য, সন্দেশখালির অজিত মাইতিকে তাড়া করেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার রাতে তিনি একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।অজিত মাইতির গ্রেফতারির পরই এই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের নামের সঙ্গে সন্দেশখালির নেতার নাম এক হওয়ায় অনেকেই ভুশবশত ভেবে বসেন হয়তো বিধায়কই গ্রেফতার হয়েছেন। আর হাসপাতালে শুয়ে শুয়েও বিষয়টি নজরে এসেছে অজিত মাইতির। আর এরপরেই ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন এই বিধায়ক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন সন্দেশখালির সঙ্গে তাঁর দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই। অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্যও আবেদন করেছেন তিনি।