‘সাংসদ তহবিলের ২৫ কোটি কোথায় গেল?’ বিস্ফোরক সায়ন্তিকা, পালটা সুভাষ
এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সাংসদ তহবিলে পাঁচ বছরে মোট পাঁচ কোটি টাকা এসেছে, সেই টাকা কোন খাতে খরচা হয়েছে? আদৌ হয়েছে কী? বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, ‘উনি চাইলে সব হিসেব দিয়ে দেব।’ লোকসভার আগে সরগরম বাঁকুড়ার রাজনীতি।সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বছরে পাঁচ কোটি টাকা পেয়েছেন। পাঁচ বছরে মোট ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন। তারপরেও ঘোষের গ্রামে একজন দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন। মানুষের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেননি। বিস্ফোরক দাবি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা, চিত্রাভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সোমবার ছাতনার শিউলীপাহাড়ি গ্রামে একটি পথশ্রী প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। একই সঙ্গে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্যাসের দাম নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন তিনি। সায়ন্তিকা বলেন, ‘লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা ৫০০ থেকে ১০০০ হয়েছে, কিন্তু রান্নার গ্যাসের দাম কেন্দ্রীয় সরকার কমায়নি।’ তাঁর দাবি, দু'বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের বকেয়া টাকা কেন্দ্র আটকে রাখলেও রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ওই টাকা বরাদ্দ করেছে। এখানেই বিজেপিশাসিত রাজ্য ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকারের মধ্যে পার্থক্য বলে তিনি দাবি করেন।লোকসভা নির্বাচনের আগেই ওই কেন্দ্রের সাংসদকে নিয়ে সায়ন্তিকার কটাক্ষ, এলাকায় বেশিরভাগ সময় দেখা যায় না সাংসদকে। সংসার তহবিলের টাকায় ওই অঞ্চলে একটি ‘ল্যাম্পপোস্ট তৈরি হয়নি’ বলেও দাবি তাঁর। বিজেপি সাংসদ ওই কেন্দ্র থেকে জিতে এলেও এলাকার উন্নয়নে রাজ্য সরকারই প্রধান ভূমিকা নিয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেত্রীর।সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘২০১৯ থেকে ২৪ কতো টাকা পাওয়া গিয়েছে ওঁর জানা উচিৎ। একবার যেন উনি আমার সঙ্গে দেখা করেন, সব হিসেব দিয়ে দেবো।’ একইসঙ্গে স্বাধীনতার পর বাঁকুড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুনমুন সেন সহ যে ১৬ জন সাংসদ ছিলেন তাঁদের সবার চেয়ে তিনি সবথেকে বেশি কাজ করেছেন বলে দাবি করেন।