সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলের দাবিকে কটাক্ষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণেই অধরা শেখ শাহজাহান। তার পরিপ্রেক্ষিতে অধীর বলেন, ‘এই কথা শুনে ধোপার গাধারাও হাঁসবে। হাইকোর্ট যদি স্থগিতাদেশ দেয় তাহলে তৃণমূলের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা ছিল।’অধীর এদিন জানান, একাধিক মামলা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। তাঁর প্রশ্ন, ‘তাহলে এই মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে কেন গেল না রাজ্য?’ অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘আসলে শেখ শাহজাহানকে ধরা হচ্ছেনা এটা সত্য নয়। ধরছে না। আঁচলের তলায় থাকলে তাকে কে ধরবে?’আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে ‘জনগর্জন’ সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইন্ডিয়া জোটের ‘সহযোদ্ধা’রাও এই সভায় আসতে পারেন, দরজা খোলা থাকার কথা জানিয়েছেন খোদ তৃণমূল সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ‘জনগর্জন’ সভা নিয়ে এবার খোঁচা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন বলেন, ‘সন্দেশখালিতে নারী গর্জন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর জনগর্জন সভা করা উচিত সন্দেশখালিতে। নারীদের সম্মান দিয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করা উচিত। সেখানে ব্রিগেড করা উচিত।’ অধীরের বক্তব্য, সন্দেশখালির মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত রাজ্যের। তাঁর কটাক্ষ, ‘তা না করে উনি ব্রিগেডে জনগর্জন করে কাকে ভয় দেখাতে চাইছেন। সন্দেশখালির মহিলাদের। সন্দেশখালির মহিলারা জনরোষে ফুঁসছেন।’ সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনটাই জানা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা নিয়ে হাইকোর্টের বাধার কথা আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার বিষয়টি স্পষ্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিট গঠন করে যে তদন্তের কথা জানানো হয়েছিল, সেখানে স্থগিতাদেশ রয়েছে হাইকোর্টের। সেই কারণে রাজ্য পুলিশের পক্ষে তাঁকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সোমবার সকালেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দিষ্ট কোনও স্থগিতাদেশ নেই। এরপরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশ।রাজ্য পুলিশের তরফে এদিন সন্দেশখালি থানায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সত্যিটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সকলের সামনে এনেছেন বলে বিষয়টি আদালতে এসেছে। রাজ্য পুলিশকে আদালত ছাড়পত্র দিলেন, শেখ শাহজাহানকে আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।