কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের 'সম্প্রীতি' ট্রেনের আবেদন রাজ্যপালের
এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এবার কি কলকাতা থেকে এনজেপি নতুন ‘সম্প্রীতি’ ট্রেন চালু হবে? রেলের কাছে এমনই আবেদন রাখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ব্যান্ডেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপাল কলকাতা-দার্জিলিং সম্প্রীতি ট্রেনের আবেদন করলেন রেলের কাছে।কলকাতার রাজভবন থেকে দার্জিলিং রাজভবনে অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘সম্প্রীতি’ ট্রেন দেওয়ার জন্য পূর্ব রেলের জিএম মিলিন্দ দেওস্করকে অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, ‘দার্জিলিং-এ চা উৎসব হয় প্রতি বছর। সেই উপলক্ষে সেখানে শিশু, যুবক, মহিলা খেলোয়ার থেকে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ কলকাতা রাজভবন থেকে দার্জিলিং রাজভবনের অতিথি হবেন। তাঁদের জন্য প্রতিবছর একটি বিশেষ ট্রেন দেওয়ার জন্য জিএমকে অনুরোধ করেন রাজ্যপাল বোস।সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল শিলান্যাস নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে শুরু হয়। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে স্থানীয় স্কুলের শিশুদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বোস। পাশাপাশি, রাজ্যপাল রাজভবনে আমন্ত্রণ জানান পাঁচজন সাধারন মানুষ ও পাঁচজন রেল কর্মীকে। রেলের তরফে যেন সেই ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যপাল বলেন, ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির,জ্ঞান যেথা ভয় মুক্ত।’ তাঁর কথায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,বাংলার মাটি বাংলার জল,বাংলার বায়ু বাংলার জল পূন্য হোক পূন্য হোক পুণ্য হোক হে ভগবান। বাংলা সব সময় ভয় শূন্য. তাই ব্যান্ডেল রেল স্টেশন থেকেই উন্নয়ন ও এগিয়ে চলার বার্তা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।প্রসঙ্গত, অমৃত ভারত প্রকল্পে ব্যান্ডেল স্টেশনকে বিশ্বমানের করা হবে। এই নতুন প্রকল্পে খরচ হবে ৩০৭ কোটি টাকা। অত্যাধুনিক স্টেশন বানানো হবে ব্যান্ডেল স্টেশনকে। এর আগে ভারতবর্ষে সবচেয়ে বড় নন ইন্টারলকিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যান্ডেল স্টেশন হবে পরিবেশবান্ধব। এছাড়া, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, ভূগর্ভস্থ পথ, যাত্রীদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, লিফট, শৌচাগার করা হবে। ব্যান্ডেলের পাশাপাশি চন্দননগর ডানকুনি স্টেশনও অমৃত ভারত প্রকল্পে আধুনিকীকরণ হবে তারও শিলান্যাস হয়।চন্দননগরে ১৮ কোটি ডানকুনিতে ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে। দুই স্টেশনেই রেলের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, অমৃত ভারত প্রকল্পে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে থাকা স্টেশনগুলির উন্নয়নের কাজের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দক্ষিণ–পূর্ব রেলের ৪৬টি স্টেশন এবং ১০৮টি রোড ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাসের উদ্বোধন করা হয়।