দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বীরভূমে তৃণমূলে ধাক্কা! BJP-তে যোগদান করলেন খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল যুব কার্যকরী সভাপতি নীলমাধব চৌধুরী সহ আরও দুই তৃণমূল নেতা। যদিও এই দলবদলকে বিন্দুমাত্র আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। তাদের কথায়, এই নেতা কোনওদিনই দলের জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না। তাঁর যাওয়াতে দলের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর গ্রেফতারির পর ‘এজেন্সি রাজনীতি’-র অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডল জেলায় না থাকলেও তাঁর নীতির উপর ভিত্তি করেই দল চালাতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল মোটের উপর বেশ ভালো বীরভূমে। লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের জন্য একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এই কোর কমিটিই তত্ত্বাবধান করছে জেলার দলীয় সংগঠন সহ যাবতীয় বিষয়।এদিকে নীলমাধব চৌধুরীর লোকসভা নির্বাচনের আগে BJP-তে যাওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জেলার অন্দরে। তিনি দাবি করেছেন, মূলত বিভিন্ন দুর্নীতির কারণেই তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন। পাশাপাশি খয়রাশোল থেকে আরও প্রায় তিন হাজার জন সাধারণ কর্মীও আগামী দিনে BJP-তে যোগদান করবে বলে দাবি করেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা ।উল্লেখ্য, সম্প্রতি খয়রাশোলের ব্লক সভাপতির বদলে তৈরি করা হয়েছে ব্লক কোর কমিটি। এরই মধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই ‘সামান্য ঘটনা’-র কোনও প্রভাব তাদের দলের উপর বা লোকসভা নির্বাচনের উপর পড়বে না।এই প্রসঙ্গে সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, 'নীলমাধব চৌধুরী এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নয় বা এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল না । তাউ ওকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না।'উল্লেখ্য, বীরভূম জেলাকে এবার ‘টার্গেট’ করতে চাইছে BJP। লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতির বিষয়টিকে সামনে রেখে সংগঠনের আরও ধার বাড়াতে চাইছে তারা। যদিও তৃণমূল নেতাদের কথায়, ‘সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা রেখে এসেছেন। আগামীদিনেও রাখবেন। তাই যে যতই চেষ্টা করুক, এই জেলায় ঘাসফুলই থাকবে।’