Election Commission : ভোটের নজরদারি কমিটিতে ED-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি তৃণমূলের
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
একদিকে, রাজ্যে একের পর এক আধার কার্ড বাতিল হওয়া, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের গড়া গোয়েন্দা কমিটিতে রয়েছে ইডি। দুটি বিষয় নিয়ে এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে স্মারকলিপি জমা দিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। তৃণমূল সংসদীয় দল স্মারকলিপিতে প্রশ্ন তুলেছে, ‘কেন নির্বাচনের আগে গড়া এই কমিটিতে ইডিকে রাখা হয়েছে?’সোমবার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, প্রতিমা মণ্ডল, দোলা সেন, সাজদা আহমেদ এবং সাকেত গোখলেরা যান জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তুলে সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। সেখানেই উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনের গড়ে দেওয়া গোয়েন্দা সংস্থার কেন ইডিকে রাখা হল? প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে জেলা গোয়েন্দা কমিটি গড়েছে নির্বাচন কমিশন। কোনও এলাকায় ভোটের আগে প্রচুর আর্থিক লেনদেন, বেআইনি অর্থ লেনদেনের বিষয়গুলি দেখবে এই কমিটি।তৃণমূলের প্রশ্ন, আর্থিক তছরুপের একাধিক মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সেখানে অনেকাংশেই বিরোধী নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তৃণমূলের আরও দাবি, ২০২৩ সাল থেকে মোট ৫,৯০৬টি আর্থিক তছরুপের মামলা তদন্ত করছে ইডি। অথচ, এর মধ্যে মাত্র ১,২৪২টি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হয়েছ ২৫টি। যা শতকরা হার ০.৪২ শতাংশ। ইডির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কেন কমিশনের কমিটিতে রাখা হল, সেই নিয়ে অভিযোগ রয়েছে স্মারকলিপিতে।তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ দোলা দেন এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘আমরা মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। সেখানে নজরদারি কমিটিতে কেন তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে, রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি নেই, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তবে কমিশন জানিয়েছে, কমিটিতে রাজ্যের প্রতিনিধি থাকবে।’পাশাপশি, আধার কার্ড বাতিল নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেই স্মারকলিপিতে। একের পর এক জেলায় আধার কার্ড বাতিল হওয়ার আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের আগে যাতে কোনওভাবেই নাগরিকরা ভোটদান থেকে বিরত না হন, এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। দোলা সেন বলেন, ‘আধার অনেক জায়গায় রিঅ্যাক্টিভেট হয়নি, সেটা কমিশনকে জানিয়েছি। তবে কমিশন জানিয়েছেন, আধার কার্ডের সঙ্গে ভোট দেওয়ার বিষয় নেই। বাকি যে কোনও পরিচয় পত্র নিয়ে নাগরিকরা ভোট দিতে পারবেন।’তৃণমূলের স্মারকলিপিতে উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ। মার্চের মধ্যে রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের স্মারকলিপিতে চোপড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় শীতলকুচি এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নাগরিকের প্রাণহানি হয়েছিল। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সেটা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সামনে তুলে ধরে তৃণমূলের সংসদীয় দল।