• পুর এলাকায় আবাস যোজনার অর্থ বরাদ্দ মেদিনীপুরে, খুশি উপভোক্তারা
    এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে গ্রামীণ আবাস যোজনার দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকারের। তবে গ্রামীণ অঞ্চলে আবাসের কাজ বন্ধ থাকলেও শহরে আবাসের কাজ ফের শুরু হয়েছে অর্থ বরাদ্দের জন্য। এরকমটাই দেখা গেল মেদিনীপুর শহরে।মেদিনীপুর পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকায় আবাসের কাজের জন্য সম্প্রতি ১০ কোটি টাকা এসেছে। সেই কারণে পুর এলাকায় নতুন করে আবাসের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরসভা প্রায় এক হাজার উপভোক্তাকে এক লাখ টাকা করে দিয়েছে। যাঁদের বাড়ির কাজ কিছুটা বাকি ছিল, তাঁরা নতুন করে কাজ শুরু করতে পারছেন। ফের বাড়ির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামীণ অঞ্চলের পাশাপাশি শহর অঞ্চলেও বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে থাকে। গ্রামীণ এলাকায় অর্থ বরাদ্দের সঙ্গে শহর এলাকার অর্থ বরাদ্দের ধরন কিছুটা আলাদা। গ্রামীণ এলাকায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের আলাদা করে কোনও টাকা দিতে হয় না। তবে শহর এলাকায় আবাসের জন্য বরাদ্দ হয় মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। যার মধ্যে সুবিধাভোগী উপভোক্তাকে নিজেকে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা।মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় মোট ২২৪৮টি বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেষ , ১,৯৯৪টি বাড়ির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। মোট টাকার পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রথম কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উপভোক্তাদের মোট ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকায় যেটুকু কাজ হওয়া সম্ভব সেটুকু কাজ গিয়ে বাকি বাড়ি নির্মাণের কাজ মাঝপথে আটকে ছিল। অনেকেই নিজের অর্ধেক নির্মিত বাড়ির কাছে কোনও কাঁচা ঘরে বা ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তবে নতুন করে টাকা আসায় ফের আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই।তবে, উপভোক্তাদের একটি অংশকে বাকি টাকা দেওয়া বলেও বাকি সুবিধাভোগীদের কবে টাকা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পুর প্রধান সৌমেন খান একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে টাকা আসতে শুরু করেছে। বাকি টাকা এলে আবার নতুন উপভোক্তাদের সেই টাকা দেওয়া হবে।
  • Link to this news (এই সময়)