Human Trafficking: ট্র্যাফিকিং কেসে ধৃত ‘ডার্টি হ্যারি’
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বুমেরাং হয়ে গিয়েছিল ওই গুজরাটি পরিবারের ‘ডাঙ্কি’ ট্রিপ! বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় ঢোকার সময়ে মানিটোবার দক্ষিণে কন্টেনারের মধ্যে প্রবল ঠান্ডায় জমে মারা গিয়েছিলেন জগদীশ বলদেবভাই প্যাটেল, তাঁর স্ত্রী বৈশালীবেন এবং তাঁদের দুই শিশুসন্তান! ২০২২-এর জানুয়ারির ঘটনা। অবশেষে ‘মানবপাচার’-এর ওই মামলায় মূল চক্রী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হলো জন্মসূত্রে গুজরাটি হর্ষকুমার প্যাটেলকে।যিনি ‘ডার্টি হ্যারি’, ‘পরম সিংহ’ কিংবা ‘হরেশ রমেশলাল প্যাটেল’ নামেও পরিচিত। গত সপ্তাহে শিকাগো বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ডার্টি হ্যারির বিরুদ্ধে আমেরিকায় ভিন্দেশিদের অবৈধ ভাবে ঢোকানোর বহু অভিযোগ রয়েছে। কোর্টে পুলিশের তরফে পেশ করা নথি মোতাবেক, মানবপাচারের জন্য স্টিভ শ্যান্ড নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছিলেন ডার্টি হ্যারি। যে আদতে ফ্লোরিডার বাসিন্দা এবং নিজেও পাচারকারী।২০২২-এ জগদীশদের দেহ উদ্ধারের পর শ্যান্ডকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই পাচারের নেপথ্যে যে আদতে ডার্টি হ্যারি, শ্যান্ডকে জেরা করেই তা জানতে পারে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় শ্যান্ড জানিয়েছেন, ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারি পর্যন্ত মিনেসোটার আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাঁচ বার গিয়েছিলেন তিনি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভারতীয়দের নিয়ে।ওই গুজরাটি পরিবার টরন্টো থেকে মানিটোবা গিয়েছিল। সেখান থেকে এমারসনের দিকে রওনা হয়েছিল। তবে নিজেদের বিপদ বুঝে ক্যানাডা সীমান্তেই তাঁদের ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্ত ডার্টি হ্যারি ও শ্যান্ড।