• Trinamool Congress : ব্রিগেডকে করতে হবে ‘ঐতিহাসিক-অভূতপূর্ব’, নির্দেশ তৃণমূলের
    এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ব্রিগেডে রেকর্ড জমায়েত করতে তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, বিধায়ক, সাংসদ, শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের কাছে নির্দেশিকা পাঠালেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’। রবিবার এ কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার সুব্রতর তরফে সমস্ত সাংগঠনিক নেতৃত্বের কাছে সমাবেশ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির নির্দেশ গিয়েছে। দু’সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। সুব্রত তাই এ দিন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।নির্দেশিকায় সমাবেশের কথা জানিয়ে বলা হয়েছে — ‘আপনাদের কাছে নির্দেশ যে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এবং সমস্ত শাখা সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ১০ মার্চের ব্রিগেড চলো অভিযানকে ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব করে তুলতে হবে।’ তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, কোন সাংগঠনিক জেলাকে ব্রিগেডে কত লোক নিয়ে যেতে হবে, দিন কয়েকের মধ্যে সে নির্দেশও চলে যাবে।জোড়াফুল শিবিরের একাধিক নেতার পর্যবেক্ষণ হলো — অভিষেক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর এই প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে। তাই এতে রেকর্ড ভিড় টানতে বাড়তি সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন অভিষেক।তিনি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেই প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার দলীয় নেতৃত্ব। বারাসতে এ দিন তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হয়। কাকলি ঘোষদস্তিদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু, ব্রাত্য বসুর মতো নেতানেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে।বৈঠকের পর ব্রাত্য বলেন, ‘ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, আগামী ১-৫ মার্চের মধ্যে প্রতিটি বিধানসভায় প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেলতে হবে। আমরা চেষ্টা করব, প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে অন্তত ২০ হাজার মানুষকে ব্রিগেডে নিয়ে যেতে।’তৃণমূলের অন্য সাংগঠনিক জেলাগুলিও দিন কয়েকের মধ্যে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে জেলাস্তরে বৈঠক করবে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ-সহ দূরবর্তী জেলা থেকে যাঁরা সমাবেশের দু-একদিন আগে কলকাতায় পৌঁছবেন, তাঁদের রাট কাটানো ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থায় প্রস্তুতি শুরু করছে তৃণমূল। দূরবর্তী জেলার মানুষ বিধাননগর ও কলকাতার কোথায় কোথায় থাকবেন, তা দিন কয়েকের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে।২১ জুলাইয়ের সমাবেশের সময়ে সাধারণত বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম-সহ নানা জায়গায় দূরবর্তী জেলার মানুষরা থাকেন। এ বার আরও কিছু জায়গায় তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত হতে পারে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য। ব্রিগেডমুখী জনতাকে মূলত ট্রেনে নিয়ে আসতে চাইছেন উত্তরবঙ্গের জেলা নেতৃত্ব।কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের নেতারা দিন কয়েকের মধ্যে হাওড়া ও শিয়ালদহমুখী বিভিন্ন ট্রেনে বুকিং শুরু করবেন বলে খবর।
  • Link to this news (এই সময়)