Indian Army : ‘দেবেন কি কোস্টগার্ডের মহিলাদের স্থায়ী কমিশন, না হলে আমরা দেব’
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী বা কোস্ট গার্ডের মহিলাদের পার্মানেন্ট কমিশন দেওয়া নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেন, ‘আপনারা যদি পার্মানেন্ট কমিশন মহিলাদের না দেন। তা হলে তার ব্যবস্থা আমরা করব। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীতে লিঙ্গসাম্য নিশ্চিত করতে আদালত হস্তক্ষেপে বাধ্য হবে।’ পরবর্তী শুনানি ১ মার্চ। তার আগে কেন্দ্রকে তার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। তা না হলে যা করার কোর্ট বলবে।উপকূলরক্ষী বাহিনীর শর্ট সার্ভিস কমিশনের এক মহিলা অফিসার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে পার্মানেন্ট কমিশন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আবেদন মেনে তাঁকে স্থায়ী কমিশনে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পর্যবেক্ষণে সামগ্রিক ভাবে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন দেওয়ার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত।কোস্টগার্ডের একজন মহিলা অফিসারের আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হয় সোমবার। সেখানে মহিলাদের পার্মানেন্ট কমিশন দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি জানান, উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিষয়টি পদাতিক সেনা ও নৌবাহিনীর থেকে অনেকটাই আলাদা।তিনি পার্মানেন্ট কমিশনের বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে বলেন, ‘উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাজের ধরন স্থলসেনা ও নৌসেনার থেকে আলাদা। ভারতের দীর্ঘ উপকূল অঞ্চলে নজরদারি, অনুপ্রবেশ রোধ এবং চোরাচালান বিরোধী কাজে নিযুক্ত এই বাহিনীর অফিসারদের দীর্ঘ সময়ে সমুদ্রে বা জলযানে থাকতে হয়।’ তখন সিজেআই তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘যদি সেনার ক্ষেত্রে মহিলারা বর্ডারে নজরদারি চালাতে পারেন, কমব্যাট ফোর্সে থাকতে পারেন, যুদ্ধবিমান চালাতে পারেন, তা হলে কোস্টগার্ডে বাড়তি কী সমস্যা রয়েছে?’ তিনি সাফ জানান, মহিলাদের বাদ দেওয়ার জন্য এই সব যুক্তির কোনও সারবত্তা নেই। কোনও অজুহাতেই মহিলাদের বাদ দেওয়া যাবে না।’এই মামলার আগের শুনানিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের পিতৃতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘নৌসেনায় মহিলা রয়েছেন, তা হলে কোস্টগার্ডে বিশেষ কী রয়েছে? আমরা পুরো ক্যানভাসই উন্মুক্ত করব। সে সব দিন চলে গেছে যখন যে কেউ বলতে পারতেন, কোস্টগার্ড মহিলাদের জন্য নয়।’ এ-ও বলেন, ‘নারীশক্তি, নারীশক্তি বলে চেঁচালেই শুধু হবে, তার কোনও প্রয়োগের দরকার নেই?’২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় যে সমস্ত মহিলা ১৪ বছরের বেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের স্থায়ী কমিশনে সামিল করতে হবে কেন্দ্রকে। শীর্ষ আদালতের তৎকালীন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছিলেন সেই বেঞ্চের নেতৃত্বে।