প্রথমে পরিবেশ মেলা, পরে সুভাষ মেলা-সহ একাধিক অনুষ্ঠানের জন্য আন্তর্জাতিক যশোর রোডের উপরে লাগানো হয়েছিল বাঁশের তোরণ। অনেক দিন আগেই সে সব অনুষ্ঠান চুকে গিয়েছে। কিন্তু এখনও মধ্যমগ্রাম চৌমাথা সংলগ্ন যশোর রোড এবং সোদপুর রোডের উপর বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছে তোরণগুলি।ফ্লেক্সের বিজ্ঞাপন খুলে নিলেও রয়ে গিয়েছে রাস্তা জুড়ে থাকা বাঁশের তিন তিনটি তোরণ। কয়েক দিন আগেই ঝড়-বৃষ্টির জন্য রাস্তা জুড়ে থাকা এই বাঁশের তোরণ ভেঙে বিপত্তি বাধে অশোকনগরে। এর পরেও টনক নড়েনি মধ্যমগ্রামে। তোরণগুলি দ্রুত খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভা।দমদম বিমানবন্দর থেকে বারাসত শহরে আসার মূল সড়ক হলো যশোর রোড। যশোর রোড আন্তর্জাতিক সড়ক পথ। যশোর রোড সম্প্রসারিত হওয়ায় আগের তুলনায় বহু গুণ গাড়ির যাতায়াত বেড়েছে। অথচ মাস খানেক আগে পরপর তিন তিনটি অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডেকরেটর্সদের দিয়ে আন্তর্জাতিক যশোর রোডের দুই লেন বরাবর বাঁশের তোরণ বানিয়েছিলেন।মধ্যমগ্রাম চৌমাথার এক কিলোমিটারের মধ্যে পরপর তিনটি এই ধরনের তোরণ করা হয়েছিল। তাতে অনুষ্ঠানের জন্য ফ্লেক্সের বিজ্ঞাপনও লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। ফ্লেক্সগুলো খুলে ফেলা হলেও যশোর রোড এবং সোদপুর রোড আটকে এখনও রয়েছে তিন তিনটি বাঁশের তোরণ। মধ্যমগ্রাম শহরের এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বহু মানুষের যাতায়াত। অটো, টোটো ও ছোট, বড় বহু গাড়ি চলাচল করে। রাস্তার উপর এই তোরণের ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসের পর মাস এ ভাবেই বাঁশের তোরণগুলো থেকে যায়। শুধু হরেক অনুষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপনের ফ্লেক্স বদল হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অশোকনগরের ঘটনার পরেও শিক্ষা নেয়নি মধ্যমগ্রাম। ঝড় হলে রাস্তায় ভেঙে পড়তে পারে বাঁশের তোরণগুলো। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। অবিলম্বে এগুলো পুরসভা এবং পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে খুলে ফেলা উচিত।’মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এগুলি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে ফেলার কথাও বলা হয়েছে।’