এমআরআই-এর মতো সাধারণ ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়ায় গত এক বছরে বেশ ক’টি অঘটন ঘটেছে। কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, কোথাও রোগী। একাধিক ক্ষেত্রে হয়েছে মৃত্যুও। এ বার তাই সব বেসরকারি এমআরআই এবং ডায়ানগস্টিক সেন্টারের সঙ্গে বাধ্যতামূলক ভাবে ‘রিকভারি রুম’ রাখার সুপারিশ করল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন।প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও অঘটন, বিভ্রাট বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে পরিস্থিতি সামলে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তের প্রাণ বাঁচানো যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। সোমবার কলকাতার প্রায় সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেডিয়োলজিস্টদের সঙ্গে দিনভর আলোচনার পরে এই ডিসিশন কমিশনের।ডায়াগনস্টিক প্রসিডিয়র চলাকালীন নিরাপত্তা ও রোগীসুরক্ষা বিষয়ক একটি কর্মশালা এ দিন আয়োজিত হয় বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে। কমিশনের সঙ্গে তা যৌথ ভাবে আয়োজন করে সুরক্ষা ডায়াগনস্টিকস।পরে কমিশনের চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতার একটি বিখ্যাত বেসরকারি হাসপাতালে এমআরআইয়ের সময়ে এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ক’মাস আগে বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলাও মারা যান। এ ছাড়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর আহত হন একজন অ্যাটেন্ড্যান্ট। তাই সুরক্ষার কথা ভেবেই রিকভারি সেন্টার করার প্রস্তাব।’