• পেটই আস্ত 'পিগি ব্যাঙ্ক', যুবকের অপারেশনে উদ্ধার গাদা গাদা কয়েন-চুম্বক
    এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ছোটো বেলার সেই 'পাপ্পি হাউস' খেলনা কিংবা পিগি ব্যাঙ্কের কথা মনে পড়ে? যেখানে পয়সা জমানো যেত। 'পাপ্পি হাউস' খেলনাটির সামনে একটা কয়েন রাখলেই এক নিমেষে ছোট্ট এক কুকুর ছানা বেরিয়ে এসে সেই পয়সাটি নিয়ে আবার বাড়ির ভিতর ঢুকে যেত। ছোটবেলায় কমবেশি এই খেলনাটি অনেকেরই প্রিয় ছিল। কারও আবার ছিল পিগি ব্যাঙ্কে টাকা জমানোর নেশা। বাবা-মা শিশুকে পয়সা জমানোর ভালো দিকটি বোঝানোর জন্য পিগি ব্যাঙ্ক কিনে দিয়ে থাকেন। শিশুও তার যত্নের পিগি ব্যাঙ্কটিতে এক টাকা-দু'টাকা করে জমায়। তবে নিজের পেটকেই 'পিগি ব্যাঙ্ক' বানিয়ে ফেলেছেন এক যুবক এমনটা শুনেছে নাকি? অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। যুবকের পেটে অপারেশন চালিয়ে যা পাওয়া গেল তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকরদের। তাও আবার স্বইচ্ছায় এমন 'কর্ম' করেছিলেন তিনি বলে জানা গিয়েছে।বেশ কিছু দিন পেটে ব্যথা ও বমির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী যুবক। ওষুধ খেয়েও কমছিল না কিছুতেই। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। জানান, অপারেশন করতে হবে। দিল্লির গঙ্গারাম হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার হয় যুবকের। অস্ত্রোপচারে যুবকের পেট থেকে বের হয় ৩৯টি কয়েন ও ৩৭টি চুম্বক। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগার চিকিৎসকদের।কেন যুবক এমনটা করেছিলেন তা অবশ্য খুব একটা স্পষ্ট নয়। কেউ বলছেন ওই যুবকের মানসিক সমস্যা ছিল। সেই কারণেই হয়তো কয়েন, চুম্বকগুলো গিলে ফেলতেন তিনি। অন্যদিকে একাংশ আবার বলছেন, কেউ হয়তো কোনওদিন যুবককে বলেছিলেন তাঁর শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি রয়েছে। জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতেই যুবক এমনটা করে থাকতে পারেন। হয়তো ওই যুবক ভেবেছিলেন মুদ্রায় জিঙ্ক থাকতে পারে। কয়েন বা চুম্বক খেলে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হবে, এই চিন্তা থেকেই হয়তো বা যুবক সেগুলি গিলে ফেলেন।শল্যচিকিৎসক ডঃ তরুণ মিত্তল জানিয়েছেন, 'যুবকের এক্স-রে করা হলে কিছু ধাতব বস্তু দেখা যায়। এরপর সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়। কয়েন জমে থাকার কারণে অন্ত্রে ব্লকেজ দেখা গিয়েছে। বর্তমানে সাত দিন হাসপাতালে রাখার পর রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।' প্রসঙ্গত ২০২২ সালে প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। পূর্ব বর্ধমানের কৃষ্ণবাটি গ্রামের মইনুদ্দিন নামে এক যুবকের অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে বেরিয়ে আসে ২৫০টি পেরেক, ৩৫টি মুদ্রা ও বেশ কিছু পাথর কুচি। জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরেই না কি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এই যুবক।
  • Link to this news (এই সময়)