৩০ টাকার লটারি কেটে ১ কোটি পুরস্কার, কপাল খুলল বীরভূমের চা বিক্রেতার
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কথায় বলে 'ভগবন যব দেতা হ্যায়, ছপ্পড় ফাড় কে দেতা হ্যায়!' আর বাস্তবেও কখনও কখনও তেমনটাই ঘটে। কখন যে কার ভাগ্য ফিরে যায় সেটা কেউ বলতে পারেন না। কারন ভাগ্য লেখা থাকে বিধাতার হাতে। ৩০ টাকার লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হলেন দুবরাজপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অরুণ গড়াই।জানা গিয়েছে, অরুণ গড়াই পেশায় চা বিক্রেতা, দুবরাজপুর আদালতের সামনে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে তাঁর। রোজগার বলতে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। লটারির টিকিট কাটা তাঁর বহুদিনের অভ্যাস। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ টাকার লটারির টিকিট কাটেন তিনি। আর এবার সেই দীর্ঘদিনের অভ্যাস মুখে হাসি ফোটাল। ৩০ টাকার লটারির টিকিট এনে দিল কোটি টাকার পুরস্কার।এই প্রসঙ্গে অরুণ গড়াই বলেন, 'আমি ৩০ টাকার টিকিট ক্রয় করি। দুপুরে আমি খবর পাই যে আমার কাটা লটারির টিকিটে ১ কোটি টাকার পুরস্কার উঠেছে। আমি লটারিতে ১ কোটি টাকা পেয়ে খুবই খুশি। তাই আমার কাউন্সিলর ভাস্কর রুজকে নিয়ে থানায় এলাম।' তিনি আরও বলেন, 'সংসারে আমার টানাটানি, টাকা পেয়েছি, দেখব যাতে সংসারের উন্নতি হয়। আশা করে টিকিট কাটতাম, যদি কোনওদিন ভাগ্য ফেরে আমার।'অরুণ আরও জানান, পুরস্কার জয়ের খবর পাওয়ার পর প্রথমে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এত বড় অঙ্কের টাকা, কী ভাবে সামলে রাখবেন সেটা নিয়েই ভেবে আকুল হচ্ছিলেন তিনি। পরে কাউন্সির ও এক বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। এই টাকা দিয়ে বাড়ি এবং দোকানটিকে আরও ভালো করে তৈরি করবেন বলে জানান তিনি।অন্যদিকে এই বিষয়ে কাউন্সিলর ভাস্কর রুজ বলেন, 'অরুণ গড়াই লটারিতে টিকিট কাটেন এবং ১ কোটি টাকা পুরস্কার জেতেন। আমার কাছে আসেন, আমি থানায় নিয়ে আসি, কী কী নিয়মকানুন আছে জানার জন্য ও নিরপত্তার জন্য। খুবই ভালো লাগছে। অরুণের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এটা ওঁর কাজে লাগবে।' এক্ষেত্রে কী কী করতে হবে ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অরুণ গড়াইকে। জানা গিয়েছে, এর আগেও কয়েকবার লটারিতে পুরস্কার জিতেছেন অরুণ, তবে সেগুলি এবারের মতো এত বড় অঙ্কের নয়। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এত টাকার পুরস্কার জিতে খুবই খুশি অরুণ ও তাঁর পরিবার।