সন্দেশখালির পথে গ্রেফতার নওশাদ সিদ্দিকি, পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসা
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেফতার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সায়েন্সসিটির কাছে গ্রেফতার করা হয়েছে আইএসএফ বিধায়ককে। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় নওশাদ সিদ্দিকির। যার জেরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। প্রিভেন্টিভ মেজরে গ্রেফতার করা হয় নওশাদ সিদ্দিকিকে।জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সায়েন্সসিটির কাছেই তাঁকে আটকায় পুলিশ। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় নওশাদের। সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে তাঁকে কেন আটকানো হচ্ছে, তা জানতে চান নওশাদ সিদ্দিকি। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে রীতিমতো বিতণ্ডা শুরু হয় নওশাদের। এরপরেই পুলিশের তরফে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে বলা হয় ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নওশাদকে। পরে অবশ্য পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া প্রিভেন্টিভ মেজরে গ্রেফতার করা হয়েছে আইএসএফ বিধায়ককে।এদিন পুলিশকে নওশাদ সিদ্দিকি জানান, সন্দেশখালি যাওয়ার পাশেপাশি বাসন্তীতে তাঁর একটি পৃথক কর্মসূচি রয়েছে। তাই সেখানেও যেতে হবে তাঁকে। নওসধারে প্রশ্ন বাসন্তী যেতে তাঁকে কী ভাবে বাধা দিতে পারে পুলিশ? এমনকী সায়েন্স সিটি, যেখানে কোনওরকম ১৪৪ ধারা নেই, সেখানে কেন তাঁকে আঠছকানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নও পুলিশের কাছে করেন নওশাদ সিদ্দিকি। এই নিয়ে রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় নওশাদের। আর এই বাকবিতণ্ডার মাধেই তাঁকে গ্রেফতারের কথা জানিয়ে দেয় পুলিশ।প্রসঙ্গত, এর আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। পরে অবশ্য আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ঢুকতে পারেন শুভেন্দু। আবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সন্দেশখালিতে গিয়ে থানার সামনে ধরনায় বসেন। যার জেরে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটানাতেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আর এদিন দেখা গেল আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ। নওশাদ সিদ্দিকে গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধিরা।সন্দেশখালিতে লাগাতার তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা। চাষের জমি জোর করে দখল, সেখানে ভেড়ি তৈরি ও অত্যাচারের অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, অজিত মাইতির মতো নেতাদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তারপরেও এখনও পর্যন্ত প্রশমিত হয়নি সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলাদের ক্ষোভের আগুন।