চলতি মাসের গোড়ার দিকে কলকাতায় ধর্নামঞ্চের কর্মসূচি চলাকালীন পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে জেলার শ্রমিক সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরের আগে দুর্গাপুরে এসে শ্রমিক সংগঠনের কাজকর্মের খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সোমবার বিকেলে কলকাতা থেকে বিমানে অন্ডালে কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে দেখা করে সন্দেশখালিতে আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংকে খালিস্তানি তকমা এঁটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শিখ সম্প্রদায়ের রাজ্য প্রতিনিধিরা। তাঁরা এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।এর পর সেখান থেকে গাড়িতে দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সার্কিট হাউসে ঢুকেই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর, শ্রমিক সংগঠনের কাজকর্মের খবর নেন। জানতে চান জেলায় শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে কে আছেন। অভিজিৎ ঘটক জানান, সংগঠনের জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, কলকাতার বৈঠক থেকে দুর্গাপুর স্টিল প্লান্ট ও বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানায় কর্মী নিয়োগকে ঘিরে দলের মধ্যে অসন্তোষের খবর তাঁর কাছে আছে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিক সংগঠনের খবর নেওয়ার পর দলনেত্রী আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে।সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বিজেপির সঙ্গে আঁতাত বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করে জয়ী হওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১৫ মিনিট বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে কেউ আনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শুধু বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে জয়ী হওয়ার বার্তা দিয়েছেন আমাদের দলনেত্রী। আমরা জয়ী হবো।'জেলা নেতৃত্বদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও মলয় ঘটক। এছাড়া ছিলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভি শিবদাসন-সহ অন্যান্যরা। মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর থেকে পুরুলিয়া যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য সার্কিট হাউসের বাইরে ভিড় করেছিলেন বহু দলীয় কর্মী-সমর্থক।