মাঝবয়সি মহিলার বিশেষভাবে সক্ষম। মেডিক্যাল পরিভাষায় দেহের নীচের অংশে অন্তত ৭৫ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরাই করতে পারেন না। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে সিকিওরিটি চেকিংয়ের জন্য বারবার উঠে দাঁড় করানো এবং অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানালেন ওই মহিলা।আয়ুষী সিং নামে ওই মহিলা নিজেও পেশায় আইনজীবী। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালত সব পক্ষকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ১৫ মার্চ মামলাটি শুনানির সম্ভাবনা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষভাবে সক্ষম এবং হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতে হয়, এমন যাত্রীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করতে হবে।আগামী শুনানিতে এ ব্যাপারে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের থেকে এনিয়ে বক্তব্য জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। ভোপাল ন্যাশনল ল’কলেজের স্নাতক আয়ুষী সিং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেছেন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। এ বছর ৩১ জানুয়ারি তিনি বিমান ধরার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলে গোলমাল শুরু হয়।শীর্ষ আদালতে তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, গেটের বাইরে প্রায় কুড়ি মিনিট তাঁকে হুইলচেয়ারে বসে থাকতে হয়। কারণ, সেখানে সাহায্য করার মতো কেউ ছিলেন না। পরে তিনি হুইলচেয়ারে ভিতরে ঢুকলেও স্ক্যান করার জন্য তাঁকে অন্তত তিনবার হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে বলা হয়। সিকিওরিটি চেকের নামে সিআইএসএফ জওয়ানরা অন্তত দু’বার তাঁকে মিনিট দুয়েক দাঁড় করান।তাঁর আইনজীবীর দবি, আয়ুষী বারংবার জানান তাঁর শরীরের নীচের অংশে ৭৫ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা আছে। তিনি দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু সে কথায় আমল না দিয়ে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই যাত্রীর।