Shafiqur Rahman Barq: দেশের প্রবীণতম সাংসদের প্রয়াণ, ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যু
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজনৈতিক জগতে নক্ষত্র পতন। প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা ও সম্ভলের প্রাক্তন সাংসদ শফিকুর রহমান বর্ক। মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হন তিনি। প্রয়াণকালে শফিকুরের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। সংসদের প্রবীণতম সদস্য ছিলেন শফিকুর। দলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। শোকবার্তা দলের সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের।দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন শফিকুর। মঙ্গলবার মোরাদাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াণ হয় তাঁর। সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ করে প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এরপর থেকেই ক্রমাগত স্বাস্থ্য়ের অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। প্রায় এক মাস চিকিৎসকার পর অবস্থার উন্নতি হয়নি। মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান সাংসদের মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়েছিল। জানা গিয়েছে শফিকুরের এক নাতনি পেশায় চিকিৎসক, তাঁর তত্ত্ববধানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।শফিকুরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ২০২৩ সালের নয়া লোকসভায় বর্ষীয়ান সাংসদের প্রশংসা করেছিলেন মোদী। সভার মর্যাদা রক্ষায় ৯৩ বছর বয়সেই তিনি তাঁর আসন গ্রহণ করেন। মোদী তা দেখে বলেন, 'সংসদের প্রতি এমনই আনুগত্য থাকা উচিত।' শফিকুর চারবারের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ও ২০১৯ সালে পঞ্চমবারের জন্য সম্ভল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ২০০৪, ২০০৯ সালে মোরাদাবাদ আসন থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে মোরাদাবাদ বিধাসভা নির্বাচনে জয়ী হন শফিকুরের নাতি। সেবার তাঁর নাতি জিয়াউর রহমান বার্ক সমাজবাদী দলের তরফে টিকিট পেয়ে মোরাদাবাদের কুন্দারসি আসন থেকে বিধায়ক হন। নাতিকে জেতাতে ময়দানে নেমেছিলেন শফিকুরও।১৯৩০ সালের ১১ জুলাই জন্ম শফিকুরের। রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন চৌধুরী চরণ সিংয়ের সঙ্গে। বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন শফকুর। সৎ রাজনীতিক ও মুসলিমদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরা জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন খুব অল্প সময়ের মধ্য়েই। এরপর মুলায়ম সিং যাদবের সংস্পর্শে এসে সমাজবাদী পার্টি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।সমাজবাদীর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়, 'একাধিক বারের সাংসদ শফিকুর রহমান বর্কের মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।' শফিকুরের পবিবারকে সমবেদনা জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন এসপি প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। দেশের বিবিধ বিষয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের হয়ে শক্তিশালী স্বর হিসাবে তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই।