আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে পুরুলিয়ার সভা থেকে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রকে কার্যত আবাস যোজানার টাকা দেওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ ঘোষণা, ১ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্র টানা না দিলে সেই টাকা দেবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের টাকাতেই তৈরি হবে বাড়ি। লোকসভা ভোটের আগে এটিকে মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '১ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্র টাকা না দিলে আবাস যোজনার ১১ লক্ষ বাড়ি বানিয়ে দেবে রাজ্য, আদিবাসীদের জমি কোনওমতেই কেড়ে নেওয়া হবে না, আদিবাসীদের জমি হস্তান্তরও করা যাবে না।' তিনি বলেন, 'পয়লা এপ্রিলের মধ্যে যদি কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না ছাড়ে, প্রথম ফেজে যে ১১ লাখ বাড়ি আছে তালিকায়, যাঁরা সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েও পাননি, পয়লা এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার না দিলে আমরা আপনাদের করে দেব, টাকাটা রাজ্য সরকার দেবে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতেও অনেকে আবেদন করেছিলেন, আমি সেটাকেও ভেবে দেখতে অনুরোধ করব।' এছাড়া আদিবাসীদের জন্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন বোর্ড থেকে ও দফতর থেকে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বর্তমানে জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দফায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। গত লোকসভা এই ৩ জেলার ভাল ফল হয়নি তৃণমূলের। ৩ জেলার ৪ লোকসভা কেন্দ্রেই জয় পায় বিজেপি। এবার সামনেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। আর সেই ভোটে এই আসনগুলিতে ভালো ফলের লক্ষ্য নিয়ে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে পুরুলিয়ার বুকে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছ। আবাস যোজনার ঘর বণ্টনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, আর এই দুর্নীতিতে যে বা যারা যুক্ত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে বরাদ্দ টাকা পাঠান হবে না বলে অতীতে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চিঠিতে জানান হয়, কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনে এই রাজ্যে আবাস যোজনায় বেশকিছু বেনিয়ম উঠে এসেছে। এমনকী প্রকল্পের নামও বাংলায় বদলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের ঘোষণা মানুষের মধ্যে বিশেষ কোনও প্রভাব ফেলে কি না সেটাই দেখার।