শিলদাকাণ্ডে ২৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত আদালতের, কী হয়েছিল ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি?
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শিলদা মাওবাদী হামলার ঘটনায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল ঝাড়গ্রাম আদালত। ২০১০ সালে শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে EFR ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। এই মামলায় জেলবন্দি ২৩ জন মাওবাদীকে দোষী সাব্যস্ত করল ঝাড়গ্রাম আদালত। ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সালিম সাহির এজলাসে ১৪ মাওবাদীকে পেশ করা হয়। এই মামলায় ৯ জন জামিনে মুক্ত রয়েছে। তাঁদেরকেও মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক এ দিন অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে থাকা EFR ক্যাম্পে মাওবাদীরা হামলা চালিয়েছিল। ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে ২৪ জন EFR জওয়ানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। জওয়ানের পাল্টা প্রতিরোধে ৫ জন মাওবাদী মারা গিয়েছিল। এই ঘটনার পরই EFR ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়েছিল।সেই EFR ক্যাম্পের অদূরে শিলদাতে করা হয় রাজ্য পুলিশের স্ট্রাকো ক্যাম্প। জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলায় এতো নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে কখনও হয়নি এ রাজ্যে। রাত ৯ টা নাগাদ এই ক্যাম্পে হামলা চালায় সশস্ত্র মাওবাদীরা। একের পর এক জওয়ানকে নৃশংস ভাবে গুলি করে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দুই জওয়ান, উদ্ধার হয় মোট ৫ জন। লুঠ করা হয় পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র।এর পরেই শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। এই মামলার মোট ২৪ জন মাওবাদীদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই মামলায় প্রথম মাও নেতা রঞ্জন মুণ্ডা গ্রেফতার হয়। তারপর একাধিক মাওনেতা-নেত্রী গ্রেফতার হলেও অধরা ছিল মাও নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সুচিত্রা। প্রথমে এই মামলা শুরু হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে পরর্বতীতে সেই মামলা শুনানি শুরু হয় পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে।সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। মঙ্গলবার জেলবন্দী ১৪ জন মাওবাদীকে তোলা হল ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সালিম সাহির এজলাসে। এছাড়াও বাকি নয়জনকে যারা জামিনে মুক্ত রয়েছেন, তারাও মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয় । বিচারক এ দিন অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ইতিমধ্যে সুদীপ চংদার নাম এক মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে।