সাত লক্ষ টার্গেট শুধু এক জেলা থেকেই, ব্রিগেড এখন পাখির চোখ তৃণমূলের
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেড ময়দানে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই অংশ হিসেবে সোমবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা হলো দলের কোর কমিটি প্রস্তুতি বৈঠক। এ দিনের বৈঠকে জেলা কোর কমিটির কনভেনর পার্থ ভৌমিক, চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, রথীন ঘোষ, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার উপস্থিত ছিলেন।তবে বৈঠকে দেখা যায়নি ব্যারাকপুর-দমদম সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক তাপস রায়কে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি না থাকার কথা বললেও, তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের প্রতি অভিমানেই তিনি বৈঠকে হাজির হননি। শুধু এদিনের বৈঠক নয়, গত কয়েকদিন ধরে দলীয় কর্মসূচিতেও তাকে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। যদিও কোর কমিটির এক নেতার কথায়, দলের প্রতি কারোর যদি কোনও অভিমান থাকে তা দলের অভ্যন্তরে বসেই মিটিয়ে নেওয়া হবে।বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ব্রিগেড মাঠে সাত লক্ষ মানুষের জমায়েতের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। প্রতি বিধানসভা থেকে টার্গেট দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার। বিধানসভা ধরে ধরে প্রস্তুতি বৈঠকেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বীজপুর, নৈহাটি, জগদ্দল থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি সভা।জেলার নেতা মন্ত্রীরাই ওই সভায় বক্তব্য রাখবেন। পরে জেলা জুড়ে বিধানসভা এলাকা ধরে ধরে হবে ওই সভা। সন্দেশখালির ধামাখালিতে সভা হবে আগামী ৩ মার্চ। বৈঠক শেষে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলার মানুষকে লাগাতার বঞ্চনা ও তাদের হকের টাকা দিল্লির সরকার দিচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে ব্রিগেড সভার ডাক দেওয়া হয়েছে।’ব্রাত্য বসু বলেন, ‘জেলায় প্রধানমন্ত্রী আসা পর্যন্ত বিজেপি চাইছে সন্দেশখালির ঘটনাকে জিইয়ে রাখতে।’ কোর কমিটির কনভেনর পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘ব্রিগেডের মাঠে ওই সভা থেকেই আমরা বুঝিয়ে দেব বাংলার মানুষ কারও বশ্যতা স্বীকার করেনি। সর্বাধিক জমায়েতের লক্ষ্যেই আমরা জেলার বৈঠক করেছি।’সন্দেশখালি প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘ওখানে শান্তি ফিরছে আস্তে আস্তে। কারণ ওখানকার মানুষের দাবি পূরণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’