'মৃতের উপর আতর ছড়ানো হচ্ছে’, উত্তম-শিবু-অজিত গ্রেফতারি নিয়ে খোঁচা অধীরের
এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাংলার ‘স্বৈরাচারী শাসনের নগ্নরূপ’ দেখা যাচ্ছে। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ফের সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার ফের কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলকে আটকে দেওয়া হয় সন্দেশখালির গ্রামে ঢুকতে। সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস সাংসদ।অধীর চৌধুরী এদিন জানান, সন্দেশখালির ঘটনায় সরকারি দলের দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছে। এত কিছু চেষ্টার পরেও ধামা চাপা দেওয়া যায়নি। গত কয়েকদিনে এলাকার তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার থেকে শুরু করে শিবু প্রসাদ হাজরা, অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে অধীর বলেন, ‘এটা আসলে মরার গায়ে আতর ছড়ানো হচ্ছে, মানুষকে খুশি করার চেষ্টায়। জুতো মেরে গোরু দান করা হচ্ছে। বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে এভাবেই দুষলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।দুদিন আগে সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে জখম হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ। আজও কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়া হয়েছে। এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেশখালির ঘটনায় এখনও জেলে নিরাপদ সর্দার। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। সর্বস্তরে দমন পীড়ন চলছে। সন্ত্রাস, নারী শোষণ, জমি লুঠ, তৃণমূল দলের অত্যাচার দমন পীড়ন সত্ত্বেও তার বহিপ্রকাশ আটকাতে পারেনি। সন্দেশখালির আজ শুধু বাংলা নয় সারা ভারতবর্ষে আলোচিত বিষয়। ভারতবর্ষের মানুষ অবাক হয়ে দেখছে বছর বছর ধরে সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার।’সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় অত্যাচার চললেও পুলিশ মন্ত্রী হয়ে তিনি কি কিছু জানতেন না? প্রশ্ন তোলেন অধীর। তিনি বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তাঁর রাজ্যে নারীদের উলঙ্গ করে অপমান করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি স্পিক টি নট। চুপ করে আছেন। তবে বাধা পেলেও কংগ্রেস অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। প্রতিবাদ থেকে সরে আসবে না।’