Patanjali AD bans: বৈদ্যুতিন-মুদ্রণ মাধ্যমে পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধের সুপ্রিম নির্দেশ, কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা
এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার 'বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা' বিজ্ঞাপনী মামলায় কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্টের দাবি, 'সরকার চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে।' অবিলম্বে বৈদ্যুতিন ও মুদ্রণ মাধ্যমে পতঞ্জলি ওষুধের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত নভেম্বর মাসেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ভুয়ো তথ্য দেওয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করলে এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে রামদেবের মালিকানাধীন সংস্থাকে।আধুনিক ওষুধের বিরোধিতা করে ভুল তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন করছে পতঞ্জলি সংস্থা। এই মর্মে IMA মামলা দায়ের করেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল পতঞ্জলি তার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ও চিকিৎসকদের অসম্মান করা হচ্ছে। এইসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে জনগণকে। আগেই সুপ্রিম কোর্টে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছিল পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনগুলিকে। এবার শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল বিভ্রান্তিকর বা ভুয়ো তথ্য নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবলিম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।' পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে হাজির আইনজীবীদের কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এই ধরনের ভুয়ো মেডিক্যাল বিজ্ঞাপনের কেন্দ্রে কেন্দ্রকেই সমাধান বের করতে হবে।প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন সিজেআই এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, 'রামদেবের বাবার কী হয়েছে? আমরা ওঁকে সম্মান করি। কারণ উনি যোগ-ব্যায়ামকে জনপ্রিয় করেছেন। তবে ওঁর চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করা উচিত নয়। আপনারাই দেখছেন ওঁর সংস্থার বিজ্ঞাপনে কী ভাবে চিকিৎসকদের রীতিমতো খুনি হিসেবে প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।'২০২০ সালে করোনাকালে পতঞ্জলি বাজারে এনেছিল করোনিল কিট। পতঞ্জলি সেই সময় প্রচার করে এই কিট করোনা মোকাবিলায় সহায়তা করে। 'করোনিল' এবং 'শ্বাসারি বটি' নামে দুই ধরনের ট্যাবলেট এবং 'অণু তৈল' নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি হয়েছিল ওই কিট। কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল সংস্থার তরফে। আইএমএ –র অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ লাখ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি হয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, 'বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা' বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।